ভারতের সবচেয়ে বড়় পাপ্পু হলেন অমিত শাহ, কেন? তৃণমূল কংগ্রেসের যুক্তি

পরপর যুক্তি প্রমাণ করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসলে একজন ব্যর্থ মন্ত্রী। তাঁকে দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু বলা হবে না তো কাকে বলা হবে?

Must read

১. বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করবেন না, অথচ তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকতে চান। আসলে এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভীত-সন্ত্রস্ত। এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মতো আঞ্চলিক দলের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন। বিরোধীরা ভারতে থাকুক, চান না। তাই সিবিআই-ইডির মতো এজেন্সি- গুলিকে বিরোধী দল এবং বিরোধী নেতাদের বিপক্ষে নামিয়ে দিয়েছেন।
২. মানুষকে গভীর দুঃখ-কষ্টের মধ্যে রেখেই ধন-সম্পত্তিতে ফুলে ফেঁপে উঠছে বিজেপি। সেই অর্থ দিয়েই বিরোধী দলগুলির নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে এমএলএ কেনাবেচা করছেন।

আরও পড়ুন-অগ্নিযুগের বাঙালিনিরা

৩. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছেলে জয় শাহ। জাতীয় পতাকার প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা রয়েছে তার লেশমাত্র নেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুত্রের। মোদি-শাহ-সহ বিজেপি নেতাদের ছদ্মদেশাত্মবোধ এখানেই পরিষ্কার হয়ে যায়। বিজেপি যে হর ঘর তেরঙ্গা প্রচার শুরু করেছে, তার শুরু হওয়া উচিত অমিত শাহর বাড়ি থেকে। স্লোগান হওয়া উচিত আপনা ঘর তেরঙ্গা।
৪. হিমন্ত বিশ্বশর্মা, নারায়ণ রানে কিংবা শুভেন্দু অধিকারীদের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিজেপিতে জায়গা দিচ্ছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপিতে গিয়েই দুর্নীতির পাহাড়ে বসে থাকা এই সব নেতারা ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে শুদ্ধ হচ্ছেন। কেউ তাঁদের টিকিটি ছুঁতে পারছে না।

আরও পড়ুন-নতুন ফ্লাডলাইট জ্বলে উঠল ইডেনে

৫. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইডির মতো এজেন্সিকে নিয়ে ব্যস্ত। অথচ এই এজেন্সি আসলে অর্থমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। রাজধানী দিল্লিতেই এখন অপরাধের পরিসংখ্যান দেশের মধ্যে সর্বপ্রথমে। বিরোধী নেতাদের পিছনে ইডিকে না লাগিয়ে অমিত শাহর উচিত দিল্লির আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করা। এই দায়িত্বটা তাঁর মন্ত্রকের মধ্যেই পড়ছে। একই কথা প্রযোজ্য বিএসএফ ও সিআরপিএফ সম্পর্কেও। দুটি বাহিনীই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীন এবং তারা কেউই দায়িত্ব পালন করছে না। এই ঘটনাই বলে দিচ্ছে কেন্দ্রের সবচেয়ে অযোগ্য এবং অপদার্থ মন্ত্রীর নাম অমিত শাহ।
৬. সিভিসি রিপোর্ট বলছে সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে। প্রমাণ হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যর্থ তাঁর মন্ত্রক পরিচালনায়।

আরও পড়ুন-মুণ্ডেশ্বরীতে পাকা সেতু এ বছরেই

৭. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য হাস্যকর জায়গায় এসে পৌঁছেছে। ১৫৩এ ধারায় যেসব মামলা হয়েছে, সেইসব মামলার হিসেব করলে দেখা যাবে ২০১৪-২০২০-র মধ্যে ৬ বছরে এগুলি বেড়েছে ৫০০ শতাংশ।
৮. ২০২১-এ বিধানসভা ভোটের সময় বড় গলা করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় প্রচারে এসে বলেছিলেন, আব কি বার ২০০ পার। তারপর থেকেই সব নির্বাচনে বিজেপি হারছে। মাথা তোলা তো দূরে থাক, লজ্জায় মুখ ঢাকতে হচ্ছে বিজেপিকে।
পরপর যুক্তি প্রমাণ করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসলে একজন ব্যর্থ মন্ত্রী। তাঁকে দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু বলা হবে না তো কাকে বলা হবে?

 

Latest article