মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন ‘খেলা হবে’ দিবস। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন ১৬ অগাস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালনের কথা। এবার কেন ১৬ অগাস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালন হবে তার ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বলেন,”মানুষের অধিকার যাতে অধিকার অক্ষুন্ন থাকে, তাই পালন করা হবে”।
১৬ অগাস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালন প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার, নবান্নে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে এটা পালন করত কলকাতায় ময়দানে। এখন পালিত হয় না। ১৬ অগাস্ট ১৫ অগাস্টের পরের দিন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের অধিকার যাতে অধিকার অক্ষুন্ন থাকে, তাই পালন করা হবে”।
আরও পড়ুন-সত্যের কণ্ঠরোধ করার প্রতিবাদে মোদি সরকারকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, খেলা সভ্যতা-সংস্কৃতির অঙ্গ, এটা নিয়ে যাঁরা অন্য মানে করেন তাঁরা খেলার মানেটাই বোঝেন না। তিনি বলেন, ‘খেলা হবে’ এখন এটা ভারতের বড় স্লোগানে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তাই নির্দিষ্ট দিন স্থির করে দেওয়া হয়েছে। ‘কন্যাশ্রী’র মতো ‘খেলা দিবস’ হবে।
‘খেলা হবে’ স্লোগান নির্বাচনের আগে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়লেও, নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর তা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা পেরিয়ে অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই কারণেই তৃণমূল সুপ্রিমো এবার এর জন্য নির্দিষ্ট দিন স্থির করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে: একুশের মঞ্চ থেকে চব্বিশের ঐক্য-বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী
‘খেলা হবে’ দিবসের কর্মসূচিও ঘোষণা করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন বাংলার বিভিন্ন ক্লাবকে ১ লক্ষ ‘জয়ী’ ফুটবল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ ক্ষেত্রে বাদ যাবে না গ্রামগঞ্জের ক্লাবও। ৫০ হাজার বল তৈরি হয়ে গিয়েছে। “ঘরের মা-বোনেরা ‘জয়ী’ বল তৈরি করেন। খেলা দিবসে ১ লক্ষ বল গ্রামে-গঞ্জ ও শহরে দেব। আগামী দিনে খেলা হবে।”