প্রতিবেদন : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নেপালের খ্যাতি জগৎজোড়া। কিন্তু হিমালয়ের কোলে এই ছোট্ট দেশটির বিমানবন্দরগুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক। গত তিন দশকে ২৭টি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে নেপাল। দুর্ঘটনার তালিকায় নতুন সংযোজন ১৫ জানুয়ারি পোখরার বিমান দুর্ঘটনা।
প্রশ্ন হল, নেপালে কেন বারবার বিমান দুর্ঘটনা হয়? বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই নেপাল বারেবারে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে শুধু ভৌগোলিক অবস্থান নয়, তার থেকেও ভয়ঙ্কর হল, এ দেশের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরের রানওয়ের অবস্থান। এমনকী, পাইলটদের প্রশিক্ষণের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের আবেদনে বিস্মিত চন্দ্রচূড়
পাহাড়ের কোলে বিমানবন্দরে হঠাৎ হঠাৎ আবহাওয়া বদল যায়। তাই এ ধরনের বিমানবন্দরে বিমান নামানো অনেক বেশি বিপদসঙ্কুল। অধিক উচ্চতায় অবস্থানের কারণে তাপমাত্রা নামতেই তুষারপাতের কারণে রানওয়েগুলি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। পাশাপাশি রানওয়েগুলি খুবই ছোট। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে রানওয়ের শেষেই রয়েছে কয়েকশো ফুট গভীর খাদ। তবে এই প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ছাড়াও নেপালের পাইলটদের প্রশিক্ষণের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মনে করা হচ্ছে, পাহাড়ের কোলে বিপজ্জনক বিমানবন্দরে ওঠানামা করতে যে ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার অনেক পাইলটেরই তা নেই। পাশাপাশি প্রযুক্তিরও অভাব আছে।
আরও পড়ুন-ভারতীয় আইনে দুই বিদেশির বিয়ে নথিভুক্ত হতে পারে : হাইকোর্ট
এ ধরনের বিপজ্জনক বা বিপদসঙ্কুল জায়গায় বিমানবন্দর হওয়ার জন্য যে ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকা দরকার নেপালের পক্ষে তা সংগ্রহ করা এখনও সম্ভব হয়নি। তাই পাইলটেরও অনেক অসুবিধার মধ্যেই কাজ করতে হয়। সুউচ্চ পার্বত্য এলাকায় বিমানবন্দরের অবস্থানের কারণে এখানে ঘনঘন আবহাওয়া বদল হয়। সেই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে দুর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এছাড়াও নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বেশিরভাগ বিমানই বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছে। ওই সমস্ত বিমানে আধুনিক প্রযুক্তিরও অভাব আছে। এসবের কারণেই বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা।