প্রতিবেদন : নতুন সংসদ ভবন (New Parliament House) উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে লঙ্ঘন করা হয়েছে সংবিধান— এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। গণতন্ত্রের চরম অবমাননার এ এক লজ্জাজনক অধ্যায় বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ ২০টি বিরোধী দল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) তীব্র প্রতিবাদের পথ ধরে যৌথ বিবৃতি দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটেরও সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা। এবারে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়েই নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament House) দ্বারোদ্ঘাটনের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হল জনস্বার্থ মামলা। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী জয়া সুকিন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে বেআইনি, একতরফা এবং খামখেয়ালি বলে উল্লেখ করে তাঁর যুক্তি, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য মন্ত্রীদেরও নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতিই। রাজ্যপাল, সুপ্রিম কোর্ট-হাইকোর্টের বিচারপতিদেরও নিয়োগের অধিকার রাষ্ট্রপতিরই। সবচেয়ে বড় কথা, সংসদ হল দেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। সেই সংসদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ রাষ্ট্রপতি। সেই কারণেই গণতন্ত্রের মর্যাদার প্রশ্নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়, ২৮ মে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করার অধিকার কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুরই। সংসদের সচিবালয়কে সেই নির্দেশই দিক দেশের শীর্ষ আদালত। লক্ষণীয়, দেশের আমজনতাও মনে করছেন, রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে নয়া ভবনের উদ্বোধন না করানোর অর্থ শুধুমাত্র গণতন্ত্রের পীঠস্থানকে চরম অপমান করা নয়, দেশের সমগ্র আদিবাসী সমাজেরও অমর্যাদা। এদিনের জনস্বার্থ মামলায় শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং আইনমন্ত্রক নয়, পার্টি করা হয়েছে লোকসভার সচিবালয়কেও।
আরও পড়ুন- মুশকিল আসান