প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ (CAA) কার্যকর করেছে মোদি সরকার। তারপর থেকেই ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকা। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে পাল্টা যুক্তি সাজানো হলেও আমেরিকার তরফে স্পষ্ট করা হল তাদের আপত্তির আরও একটি কারণ। এবার সিএএ লাগু করার সময় নিয়ে আপত্তি ও প্রশ্ন তুলল আমেরিকা। এর আগে আমেরিকার তরফ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছিল, সিএএ (CAA) প্রণয়ন নিয়ে নজর রাখছে আমেরিকা। পাল্টা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেন, ভারতের ইতিহাস বোঝে না আমেরিকা বা সমালোচকরা। যদিও আমেরিকার তরফে ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করা হয়েছে। ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কীভাবে বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি অন্য মনোভাব নিয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন প্রশাসন। এই আইন ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর কী প্রভাবে ফেলছে তার ওপর নজরদারির দাবি জানানো হয়। একধাপ এগিয়ে মার্কিন বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত বিষয়ের সেনেটর বেন কার্ডিন সিএএ লাগু নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে পবিত্র রমজান মাসে এই আইনটি বলবৎ করায়। ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক যত গভীর হচ্ছে, তত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সব ধর্ম নির্বিশেষে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি, যে ধরনের মূল্যবোধ আমাদের আদানপ্রদানের ভিত্তিকে মজবুত করেছে। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রক যে এই আইন লাগু হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের দিকটি আবার বিবেচনা করতে চাইছে, মার্কিন সেনেটরের উক্তিতে তা আরও স্পষ্ট।