নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : লোকসভায় মণিপুর (Manipur Issue-INDIA) নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরকার এবং ইন্ডিয়া শিবিরের টানাপোড়েন কাটলেও রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) জটিলতা অব্যাহত। মণিপুরের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাদল অধিবেশনের একবারে শেষদিনে আলোচনা করতে চাওয়ায় ক্ষিপ্ত ইন্ডিয়া শিবির। লোকসভায় আগামী সপ্তাহে তিনদিন অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। তাই তখন রাজ্যসভায় মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি নয় কেন্দ্র। ১১ অগাস্ট অধিবেশনের শেষদিনে মণিপুর নিয়ে আলোচনা চায় মোদি সরকার। আর সেখানেই আপত্তি ইন্ডিয়া শিবিরের। বিরোধী জোটের বক্তব্য, এর থেকেই প্রমাণ হয়, মণিপুর নিয়ে আলোচনায় কতটা অনীহা মোদি সরকারের। বিজেপির হাতে থাকা একটি রাজ্যে লাগাতার অরাজকতা চলছে, হত্যালীলা চলছে, আগুন জ্বলছে, অথচ সংসদে আলোচনায় রাজি হচ্ছে না কেন্দ্র!
আরও পড়ুন- হরিয়ানায় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বুলডোজার নীতি, পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসন
বৃহস্পতি এবং শুক্রবার রাজ্যসভার জটিলতা কাটাতে কয়েক দফায় সরকার ও ইন্ডিয়া (Manipur Issue-INDIA) শিবিরের সংসদীয় নেতাদের বৈঠক হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১৭৬ ধারায় আলোচনার কথা বলা হয়। যদিও ইন্ডিয়ার দাবি, মণিপুর নিয়ে বিস্তারিত ভাবে ২৬৭ ধারায় আলোচনা হোক। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দাবি থেকে কিছুটা সরে গিয়ে আলোচনার জন্য ১৬৭ ধারার প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র। শুক্রবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের ঘরে বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, বিজেপির রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারিও। সেখানে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লোকসভায় অনাস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য ব্যস্ত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে এই তিনদিনের মধ্যে আলোচনা সম্ভব নয়। একটাই দিন আছে শুক্রবার। যদিও তাতে মত নেই ইন্ডিয়ার নেতাদের। তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই আলোচনা করতে হবে। লোকসভায় যেভাবে আইনের ফাঁদে আটকে অনাস্থা প্রস্তাব এনে প্রধানমন্ত্রীকে সভায় আসতে বাধ্য করা হয়েছে, সেইভাবে রাজ্যসভাতেও কোনও আইনের ফাঁদে প্রধানমন্ত্রীকে আটকে দেওয়া যায় তা নিয়েই চলছে আলোচনা। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, সংসদীয় বিধির মধ্যে থেকেই মোদি সরকারের মণিপুর সম্পর্কে আসল রূপ উন্মোচন করবে ইন্ডিয়া জোট।