সোমবার রাতে কর্ণাটকের (Karnataka) কুনিগাল এলাকার হুলিয়ারুদুর্গা শহরে রাতের খাবার না পেয়ে স্ত্রীকে খুন করে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ফেললেন স্বামী। শুধু তাই নয়, রাগ এমন চরম পর্যায় ছিল যে রাতভর তাঁর শরীরের চামড়া ছাড়াল সেই ব্যক্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এই অবস্থায় তুমকুরের পুলিশ সুপার অশোক ভেঙ্কট জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ৩৫ বছর বয়সি এক মহিলার দেহ পাওয়া গেছে। তার স্বামীও ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন-নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত সিকিম হাইকোর্টের, ঋতুকালীন ছুটি পাবেন মহিলারা
জিজ্ঞাসাবাদে শিবরাম জানিয়েছে, সে একটি করাতকলের কাজ করেন। স্ত্রী পুষ্পলথার (৩৫) সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকত। সোমবার রাতে কাজ সেরে ফিরলেও স্ত্রী রাতের খাবার দেয়নি। ঝগড়ার মধ্যেই সে স্ত্রীকে হত্যা করে বলে পুলিশকে নিজেই জানিয়েছে। হঠাৎ করেই শিবরাম ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করে। স্ত্রী মাটিতে পড়ে গেলে রাগে বাড়িতে থাকা করাত দিয়ে স্ত্রীর মাথা কেটে ফেলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, ছুরি দিয়ে স্ত্রীর দেহ থেকে চামড়াও ছাড়িয়ে ফেলেছিলেন।
আরও পড়ুন-৪ দিন ভারী বৃষ্টি বাংলায়, জানুন কোন জেলায়
এই ঘটনার কিছুক্ষন পর তিনি নিজেই ফোন করে কারখানার মালিককে ঘটনার কথা জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ঘরে ঢুকে তারা দেখে ঘরের মেঝে রক্তে ভরে ছিল। মৃত মহিলার দেহের শিরা, উপশিরাও দেখা যাচ্ছিল। শিবরাম মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা সেই ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখা হবে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।