প্রতিবেদন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সাংগঠনিক ত্রুটি শুধরে আদৌ কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস? প্রশ্ন উঠে গেল খোদ কংগ্রেস (Congress) ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই৷ শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার বিধানসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বারবারই ঘুরেফিরে আসে দলের গোষ্ঠীকোন্দল, সাংগঠনিক ত্রুটিবিচ্যুতির প্রসঙ্গ৷ গুরুত্বপূর্ণ ভোটের আগে দলের প্রথম সারির নেতারা যেভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করেছেন, পরস্পরের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন, তার জেরে দলের বিপর্যয় এড়ানো কঠিন ছিল বলে মত কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির৷ বারবারই দলের নেতাদের একজোট হয়ে লড়াই করার কথা বলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড, তারপরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা দুটি রাজ্যের ভোটের আগেই দেখা গিয়েছে দলের প্রথম সারির নেতাদের প্রবল গোষ্ঠীকলহ৷ এর জেরেই সাংগঠনিক দিক থেকে ক্রমশ দুর্বল হয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন দল, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে ভোটবাক্সে। বৈঠকে এবিষয়ে একমত হয় কংগ্রেস (Congress) ওয়ার্কিং কমিটি৷ সাংগঠনিক ত্রুটি, গোষ্ঠীকোন্দল দূর করতে না পারলে যে দলের ঘুরে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব, এককথায় মেনে নিয়েছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে-সহ বর্ষীয়ান নেতা-নেত্রীরা৷ এই প্রসঙ্গেই দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে যে কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভোটের অন্তত এক বছর আগে থেকে প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে সংগঠন গোছানোর প্রস্তুতি নেওয়া হবে৷ যদিও এসবের পরেও প্রশ্ন থাকছে, দলের নীতি নির্ধারক সর্বোচ্চ কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে কি আগামিদিনে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নামতে পারবেন রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস নেতারা?