প্রতিবেদন : যদি বেঁচে থাকি, তাহলে সিপিএমকে যেমন লড়াই করে উৎখাত করেছিলাম, তেমনই বিজেপিকেও লড়াই করে উৎখাত করব। বীরভূমে দলীয় প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে প্রচারসভা থেকে এভাবেই বিজেপি-বিদায়ের ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি জানান, বিজেপি ভয় পেয়ে তৃণমূলের গায়ে কালি ছেটাতে সন্দেশখালির ঘটনা টাকা দিয়ে সাজিয়েছিল। আপনাদের বলে যাচ্ছি, এই বিজেপিকে উৎখাত করবই, তবেই আমি যাব।
আরও পড়ুন-‘বাংলার মা, বোনেদের আত্মসম্মান নিয়ে এই খেলাটা খেলবেন না’ বোলপুর থেকে বিরোধীদের আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
বিজেপিকেও উৎখাত : লাভপুরের মঞ্চ থেকে জনতার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বিদ্যুতের বিল কে মেটায়? মোদি না আপনাদের মেটাতে হয়? জনতার জবাব পেয়েই তিনি চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন, বাংলায় যেভাবে ৩৪ বছরের সিপিএমের শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলাম, একইভাবে এই বিজেপিকে উৎখাত করব। তিনি বলেন, কখনও মহারাষ্ট্র, কখনও ঝাড়খণ্ড, কখনও কর্নাটক, আবার কখনও দিল্লিতে সরকারের গণতন্ত্রের কাঠামো ভেঙে দিয়ে তুমি ভেবেছ যা ইচ্ছে তাই করবে। আপনাদের বলে যাচ্ছি, যদি বেঁচে থাকি, তাহলে সিপিএমকে যেমন লড়াই করে উৎখাত করেছিলাম তেমনই বিজেপিকেও লড়াই করে উৎখাত করব। তবেই আমি যাব।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সন্দেশখালির কালি : তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ভয় পেয়েছে ভাজপা। তাই সন্দেশখালির কালি ঢাকতে তৃণমূলের গায়ে কালি ছেটাচ্ছে। তিনি বলেন, সন্দেশখালির কথা আপনারা কেউ ভাবতে পেরেছিলেন? প্রধানমন্ত্রী এসে কত কাঁদছেন। কিন্তু ঘটনাটা কীভাবে সাজিয়েছিল একবারও কেউ বুঝতে পেরেছিলেন? সন্দেশখালি টাকা দিয়ে সাজানো হয়েছিল? আমি বিজেপিকে বলব, টাকা দিলে টাকা পাওয়া যায়, কিন্তু মায়ের আত্মসম্মান চলে গেলে, তা ফিরে পাওয়া যায় না।
কুলাঙ্গার গভর্নমেন্ট : বিজেপির বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ এনে মোদিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, একটা কুলাঙ্গার, দুরাচারী গভর্নমেন্ট। লাজলজ্জা নেই। ঘৃণ্য জীব। যাঁরা সত্যি কথা বলতে পারেন না, তাঁদের আমি মানুষ বলে মনে করি না। দুর্নীতিপরায়ণ একটা চোর রাজনৈতিক দল। দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে, জাতি-ধর্মটাকেও বিক্রি করে দিয়েছে। মনুষ্যত্বও বিক্রি করে দিয়েছে। সংবিধানও বিক্রি, কয়লাখনি বিক্রি করে দিয়েছে। সবই তো আম্বানির হাতে চলে গিয়েছে। সাহস থাকা ভাল মোদিবাবু, কিন্তু মিথ্যা কথা বলতে বলতে আপনাদের স্পর্ধা বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-সন্দেশখালির ন্যক্কারজনক ভিডিও দেখিয়ে অভিষেকের প্রশ্ন, এই বিজেপিকে ভোট দেবেন?
গাঁজাখোরির গল্প চলছে : মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সত্যি করে বলুন, কত ফরেন বিল করেছেন? কত ডিফেন্স বিল তৈরি হয়েছে? আমি দেশটার নাম নাই বা বললাম। ভারতবর্ষের কাশীপুর গানসেল ফ্যাক্টরি এখন আর অর্ডার পায় না, ডিফেন্সটাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, কোনও এক দেশের কাছে। আর গাঁজাখোরির গল্প চলছে।
একদিন জিভ টেনে নেবে : নোটবন্দির টাকা গেল কোথায়, কলো টাকা নিয়ে আসবেন বলেছিলেন, গেল কোথায়? জবাব চাই। দেশের কোনও কাজ করেননি, কতবার আপনি বিদেশ গিয়েছেন, সব কিছুর জবাব চাই। জানবেন, তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল, যারা সততা মেনে কাজ করে, তাই আপনারা হিংসায় জ্বলেন। কোনওদিন বেতন নিইনি, পেনশন পেতে পারতাম। বই লিখে যেটা পাই, তা দিয়েই আমার চলে। আপনি তাঁকে চোর বলছেন, মানুষ একদিন জিভ টেনে নেবে। ঈশ্বর জিভ খুঁড়ে দেবে। মিথ্যা কথা বলার জন্য জিভ মোটা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-বিজেপির হাত শক্ত করা বাম-কংগ্রেসকে একটিও ভোট নয়
বিজেপির কথায় চলছে : নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে তিনি বলেন, বিজেপি বলছে এই ওসিটাকে চেঞ্জ করতে, করে দিচ্ছে। ডিআইজি পাল্টে দিচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যা করতে বলছে তাই করছে। এটা নির্বাচন কমিশন? তিন জনই বিজেপির কোলের সন্তান।