সংবাদদাতা, হুগলি : পুজোয় সবার ছুটি, শুধু ছুটি থাকে না পুলিশ ও অন্য জরুরি পরিষেবার মানুষজনের। এত পরিশ্রমের মধ্যেও পুলিশের মানবিক মুখ দেখা গেল। নবমীর রাতে রাস্তায় প্রচুর ভিড়। যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। এরই মধ্যে মেয়ের প্রসবযন্ত্রণা ওঠায় বেকায়দায় বাবা। রাস্তায় বারবার খারাপ হয়ে যাচ্ছে গাড়ি। কীভাবে তাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছবেন ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না। সেই সময়েই এগিয়ে এল মহিলা পুলিশের দল। চন্দননগর কমিশনারেটের উইনার্স বাহিনীর তৎপরতায় বছর পঁচিশের যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয়েছে। পাণ্ডুয়ার জায়ের দ্বারবাসিনীর বাসিন্দা তুহিনা পারভিনের সোমবার রাতে প্রচণ্ড প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়।
আরও পড়ুন-আগুনে সর্বস্বান্ত গ্রামবাসীর পাশে জঙ্গিপুরের সাংসদ
পুজোর ভিড় ঠেলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই বড় সমস্যা। প্রাইভেট গাড়িতে রওনা হলেও রাস্তায় বারবার খারাপ হয়ে যাচ্ছিল গাড়ি। এই দেখেই ছুটে আসেন উইনার্স বাহিনীর ইন্সপেক্টর বর্ণালি গঙ্গোপাধ্যায়। ডেকে নেন দলকেও। ঘটনাক্রমে সেই সময় দিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যান্ডেল ফাঁড়ির ওসি অতনু মাঝি। তিনিও সাহায্যে আসেন। দ্রুত অন্য একটি গাড়ি করে ওই যুবতীকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাতে আপ্লুত যুবতীর বাবা কওসার আলি। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগিও উইনার্স টিমের সদস্যদের ও ব্যান্ডেল ফাঁড়ির ইনচার্জকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।