অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ‘কৃষিবন্ধু’ প্রদীপ মজুমদারের (Pradip Majumdar) মন্ত্রিত্ব প্রাপ্তি নিয়ে জল্পনা চলছিল দুর্গাপুরের প্রতিটি কোণে। দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের এই তৃণমূল বিধায়ক মন্ত্রী হওয়ায় এই প্রথম দুজন মন্ত্রী পেল পশ্চিম বর্ধমান জেলা। বাম আমলের পর শিল্পশহর দুর্গাপুর আরও একবার মন্ত্রী পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত। আসানসোল ও দুর্গাপুর দুই মহকুমা থেকেই দুই বর্ষীয়ান নেতা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হওয়ায় জেলার গুরুত্ব যেমন বাড়ল, পাশাপাশি প্রদীপবাবুর মতো অভিজ্ঞ কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এই জেলায় কৃষিনির্ভর শিল্প সংস্থাপনের সম্ভাবনাও অনেকখানি উজ্জ্বল হয়ে উঠল বলে সব মহলের আশা। মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন প্রদীপ মজুমদারকে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানে সিপিএম প্রার্থীর কাছে হেরে যান। তবে ২০২১ সালে সিপিএমেরই আভাস রায়চৌধুরিকে হারিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন তিনি। তাঁর এলাকার মধ্যেই রয়েছে কাঁকসার অধীন বিস্তীর্ণ কৃষিপ্রধান অঞ্চল। তাই এই অঞ্চলের কৃষকদের সঙ্গে প্রথম থেকেই তাঁর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁর উদ্যোগে জেলার কৃষি মান্ডিগুলি অনেকটাই স্বনির্ভর হতে পেরেছে। পাশাপাশি রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা সম্পর্কেও অগাধ পাণ্ডিত্য রয়েছে প্রবীণ এই নেতার। বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই দুর্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান। প্রদীপবাবু (Pradip Majumdar) রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ায় খুশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় রদবদল, ৫ পূর্ণমন্ত্রী-সহ ৮ নতুন মুখ