মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ খুশি সবাই, পৌষমেলা ঐতিহ্যবাহী পূর্বপল্লী মাঠেই

সোমবার মেলার ঘোষণা হতেই, কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের সচিব আমিনুল হোদা বলেন, উপাচার্য যে মেলার ব্যাপারে সত্যিই আন্তরিক ছিলেন, প্রমাণিত হল।

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : পৌষমেলা হচ্ছে পূর্বপল্লীর মাঠে। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালের পৌষমেলার সমস্ত তিক্ততার অবসান ঘটতে চলেছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভারগ্রহণ করার পর থেকেই পৌষমেলার ব্যাপারে আন্তরিক, সেটা বারবার বলেছিলেন। সোমবার মেলার ঘোষণা হতেই, কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের সচিব আমিনুল হোদা বলেন, উপাচার্য যে মেলার ব্যাপারে সত্যিই আন্তরিক ছিলেন, প্রমাণিত হল। আমরা সবাই খুশি। বিশ্বভারতীকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতি.বাদে বিশাল মিছিল জামবনিতে

বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অশোক মেহেতা জানান, পূর্বপল্লীর মাঠে মেলা করাতে কোনও আপত্তি নেই। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি চলে যাবে। মহকুমাশাসক অয়ন নাথ বলেন, বিশ্বভারতীর চিঠির অপেক্ষায় আছি। পেলেই পৌষমেলার স্থান ঘোষণা হবে। প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুপ্রিয় ঠাকুরও খুশি। সুবীর বলেন, আশা করি, পৌষ উৎসবে আশ্রমের স্মৃতিবাসর-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে আশ্রমিক সঙ্ঘ অনুষ্ঠান করতে পারবে।

আরও পড়ুন-পুনর্নিমাণে আন্দোলিত পার্থ-দেবশঙ্করের ফেরারি ফৌজ

উনিশ সালের পৌষমেলা ঘিরে আইনি জটিলতা দেখা দেয়। তারপর মেলা হয়নি। বিকল্প মেলা ডাকবাংলো মাঠে হলেও, ব্যবসায়ীদের ভালো লাভ হয়নি। সাধারণ মানুষের আবেগ ধরতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে আসেন। তাঁর নির্দেশে জেলা প্রশাসন মেলা পূর্বপল্লীর মাঠে করতে চেয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি লেখে। আপাতত সমস্ত তিক্ততার অবসান হতে চলেছে। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই এটা সম্ভব হল। রাতে আমরা একবার মেলা নিয়ে আলোচনায় বসব। পৌষমেলা হওয়ায় উৎফুল্ল ব্যবয়াসী থেকে শুরু করে রবীন্দ্রপ্রিয় সাধারণ মানুষ।

Latest article