শহিদ মিনারে ডিএ-র দাবিতে অবস্থানরত সরকারি কর্মীদের মঞ্চের পাশে আজ হয়ে গেল তৃণমূলের (TMC youth) ছাত্র-যুব সমাবেশ। প্রধান বক্তা ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংঘাত এড়াতে সকাল থেকে কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশের। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অভিষেকের সভার অনুমতি দিয়েছেন তবে কিছু শর্ত আরোপ করেন। আজকের সভামঞ্চে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য প্রমুখ।
আরও পড়ুন-‘আমার দুটি পদ রয়েছে’ ধরনা মঞ্চ থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ‘যত দিন গিয়েছে, তৃণমূল তত শক্তিশালী হয়েছে। আজকের সভা ছোট্ট একটা ট্রেলর দেখালাম, আগামী দিনে প্রয়োজন হলে দিল্লির বুকে এই আন্দোলন সংগঠিত করব, তৈরি থাকুন। গণতন্ত্রের শেষ কথা মানুষ বলে, আদালত বলে না। আজ এখানে পবিত্র মাটিতে সাক্ষী রেখে বলছি, যে বিষয়গুলো নিয়ে সভা করছি, তা আগামী দিনে দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনব।’
আরও পড়ুন-কর্ণাটকে ভোটগ্রহণ হবে ১০ মে, ফলপ্রকাশ ১৩ মে
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে হেরে যাওয়ার পর কেন্দ্র একশো দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা সব টাকা বন্ধ। পরিষেবা মূলক কাজের টাকা সব বন্ধ করে দিয়েছে।২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদী সভা করে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হলে বাংলার মানুষের হাতে দুটো লাড্ডু তুলে দেব। আজ সত্যিই বাংলার মানুষের হাতে কেন্দ্রের সরকার লাড্ডু তুলে দিয়েছে। বাংলায় রাস্তা হলে, কার নামে হওয়া উচিত, বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা সড়ক যোজনা, কার নামে হওয়া উচিত? এই মিনারের নাম অক্টর লোনি মনুমেন্ট হওয়া উচিত নাকি শহিদ মিনার হওয়া উচিত? শহিদ মিনার হওয়া উচিত। ইংরেজরা আসলে ভেেবেছিল, আমরাই রাজত্ব করব। তাই তাঁদেরই নামে মিনার। বাংলা থেকে আন্দোলন হয়। ভারতকে পথ দেখিয়েছে বাংলাকে। ক্রিকেট স্টেডিয়াম, রাস্তা যারা নিজের নামে করে, বাংলা তা করে না।’
আরও পড়ুন-‘মুখ্যমন্ত্রী’ হিসাবে রেড রোডে ধরনা শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেন্দ্রকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘দিল্লির দানবদের কাছে বাংলা মাথানত করবে না। বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি, সংহতি যেন অক্ষুণ্ণ থাকে। ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮ টা সাংসদ বাংলা জিতিয়েছিল, তাতে কী লাভ, বাংলায় পরিষেবা মূলক সব কাজের টাকা বন্ধ। আর এক লক্ষ কোটি টাকা আদানি সাধারণ মানুষের টাকা এলআইসি, ও এসবিআই-এর মাধ্যমে আত্মসাৎ করে ফূর্তি করছে। বিজেপি বাবুদের চোখে কাপড় বাঁধা। এই টাকা তো আদানির নয়। বিজেপি টাকা ভোগ করছে।’
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে অম্বেদকর মূর্তির সামনে পোস্টার নিয়ে ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা
বাংলার বকেয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ‘বাংলার বকেয়া পাওনা ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলার কটা প্রকল্পের টাকা বন্ধ জানেন? ২০২১-২০২২, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১০৬ টা প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। সব রাজ্যের টাকা ছেড়ে দিয়েছে, একমাত্র বাংলার টাকা গা জোয়ারি করে আটকে রেখেছে।’
আরও পড়ুন-শাহরুখের উপহার, আজ চণ্ডীগড় যাত্রা কেকেআরের, চাপমুক্ত থাকতে চান নীতীশ
রাজ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থার এক বিচারপতি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলছেন, আমি রুল জারি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাতাম। আর সেই বিচার ব্যবস্থাই সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলছেন, তাঁরা অ্যান্টি ইন্ডিয়ান গ্যাঙের সদস্য, আর সেই বিচারপতিদের মুখে কুলুপ। বিজেপি করলে আইন এক, তৃণমূল কিংবা অন্য দল করলে আইন আরেক? দুর্নীতি করলে শাস্তি হোক, কিন্তু পিক অ্যান্ড চুস হবে না। প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির ফাইল উদ্ধার হলে কেন কাস্টডিতে নিয়ে জেরা হবে না? কে কী বলল, সংবাদমাধ্যম কী বলল, তাতে কান দেবেন না। ‘