কবি নজরুল ইসলামের ব্যক্তি জীবনের মতো তাঁর কবিমানসেও নারী বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই সত্য বিভিন্ন সময়ে কবি স্বয়ং স্বীকার করেছেন। নারীর বিরহে পুরুষ যেমন অসহায় বোধ করে, বিরহের আগুনে জ্বলে-পুড়ে তৈরি হয় উপলব্ধিমান নতুন মানুষ, ঠিক তেমনি নারীর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে পুরুষ লাভ করে নবজন্ম, এ-কথাও মিথ্যে নয়। ১৯৩৭ সালে কবি নজরুল তাঁর প্রথম স্ত্রী নার্গিস খানমকে চিঠিতে লিখেছেন,
‘আমার অন্তর্যামী জানেন, তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কী গভীর ক্ষত; কী অসীম বেদনা। … তুমি এই আগুনের পরশমানিক না দিলে আমি অগ্নিবীণা বাজাতে পারতাম না, আমি ধূমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না।’
আরও পড়ুন-ব্যতিক্রমী নারী
জগৎ-সংসারের সব বড়মাপের কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের জীবনেই প্রেম-ভালবাসার বিচিত্র উপাদান লক্ষ্য করা যায়। কেউ প্রেমাস্পদকে পেয়ে সৃষ্টি করেছেন ভালবাসার মহাকাব্য। কেউ বা বিরহের অনলে পুড়ে রচেছেন করুণ রাগের অমর উপাখ্যান। বিশ্ব সাহিত্যের সেরা লেখকদের ব্যক্তিজীবনের দিকে তাকালে এমন অনেক উল্লেখযোগ্য নজিরের দেখা মেলে।
কবি নজরুলের জীবনেও লক্ষ্য করা যায় নার্গিস ও প্রমীলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। এ-ছাড়াও তাঁর সৃষ্টিশীলতার প্রেরণাদায়ী হিসেবে ফজিলাতুন্নেসার নামও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। এ-কথা মনে রাখতেই হবে যে, সফল কবি ও সাহিত্যিকদের জীবনে সাধনসঙ্গী ও প্রেরণাদায়িণীরূপে যে-সমস্ত নারীর উপস্থিতি দেখা গেছে, তাঁদের অধিকাংশই কিন্তু ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রেই বৃহত্তর অবদান রেখে যান। কারণ, মাতৃসমা মহিলারাও তো শিল্পীদের জীবনপথ আলোকিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন-পশ্চিমবঙ্গকে আক্ষরিক অর্থে ভিখারি করে ছেড়েছিল বামেরা
১৯২২ সালে প্রকাশিত ‘ব্যথার দান’ গ্রন্থটির উৎসর্গ পত্রে নজরুল লেখেন,
‘মানসী আমার, মাথার কাঁটা নিয়েছিলুম ব’লে ক্ষমা কর নি, তাই বুকের কাঁটা দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করলুম’।
গবেষকদের ধারণা, কবির এই ‘মানসী’ স্বর্ণলতা গঙ্গোপাধ্যায়, তৎকালীন আসানসোলের পুলিশ বিভাগে কর্মরত এক অফিসারের কন্যা, যাঁদের আদি নিবাস ছিল বাংলাদেশের খুলনায়। শুধু সাহিত্য ও সংগীত সৃষ্টির প্রেরণাই নয়, কবির জীবনের শোকদু্ঃখ ও গভীরতর সংকটের মোকাবিলায় এই নারীরা অনেক সময়েই পথনির্দেশকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
কবির জন্মদাত্রী মা জাহেদা খাতুনের সঙ্গে কবির সম্পর্কের টানাপোড়েন কবিকে অভিমানী করে তোলে। কিশোর বয়সে কবি গৃহত্যাগ করার পর মায়ের সঙ্গে তাঁর খুব বেশি সাক্ষাৎ হয়নি। ১৯২০ সালে চুরুলিয়ায় একবার দেখা হয় মা ও ছেলের। তারপর ১৯২৩ সালে কারাগারে পুত্রের অনশনের সংবাদ পেয়ে মা জাহেদা খাতুন চুরুলিয়া থেকে ছুটে যান হুগলি জেল গেটে অনশন ভাঙিয়ে পুত্রের জীবন রক্ষা করতে। কিন্তু মা ও ছেলের সাক্ষাৎ হয়নি। ১৯২৮ সালের ৩০ মে চুরুলিয়ায় মৃত্যুবরণের আগে মা জাহেদা খাতুন পুত্র নজরুলকে দেখার জন্য অন্তিম বাসনা প্রকাশ করেন। কিন্তু নজরুল যে কোনও কারণেই হোক মৃত্যুপথযাত্রী মাকে দেখতে আসেননি। ফলে মা ও ছেলের এই অমীমাংসিত অধ্যায় নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা জবাবে তুলোধোনা করে বিধায়কের চ্যালেঞ্জ
বন্ধু বীরেন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের মা এবং স্ত্রী প্রমীলার কাকিমা বিরজাসুন্দরী দেবীকে ‘মা’ সম্বোধন করেন কবি নজরুল। প্রথমে আপত্তি করলেও পরে প্রমীলার সঙ্গে নজরুলের বিবাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এই মহীয়সী নারী। এঁর স্নেহ ও শুশ্রূষা নজরুলকে মানসিক বল জুগিয়েছে পরবর্তীকালে।
১৯৩৮ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণের সময় নজরুল এই শক্তিদাত্রী নারীর শয্যাপার্শ্বে উপস্থিত ছিলেন। কবির অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সর্বহারা’ কবি উৎসর্গ করেন এই নারীকে। এখানেই তিনি বিরজাসুন্দরী দেবীকে ‘মা’ সম্বোধন করেন।
আরও পড়ুন-জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে কুর্মিদের ছদ্মবেশে হামলা, কড়া বার্তা অভিষেকের
এরপর উল্লেখ করতে হয় নজরুল-জায়া প্রমীলার মা কবির শাশুড়ি গিরিবালা দেবীর কথা। এই মহীয়সী নারীর আন্তরিক প্রয়াস ও কঠিন মনোভাবের কারণেই হাজার প্রতিকূলতার মধ্যেও নজরুল-প্রমীলার বিবাহ সম্ভব হয়েছিল। মাতৃসমা এই নারী শুরুতে কবির সংসারের হাল না ধরলে কবির জীবন হয়তো অনিশ্চয়তার উত্তাল সাগরে ভেসে যেত। কবির জীবনে এমন যত্নশীল অভিভাবক খুব কমই এসেছেন। আরও এক নারী মিসেস এম রহমান, যাঁর কাছ থেকে নজরুল অপরিসীম স্নেহ অর্জন করেন। তাঁর প্রকৃত নাম মুসাম্মাৎ মাসুদা খাতুন । সমকালে যে কতিপয় মুসলিম বাঙালি রমণী পর্দার অন্তরাল থেকে বেরিয়ে শিল্পসংস্কৃতি ও সাহিত্যের আঙিনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন এবং মুসলমান নারীদের মধ্যে জাগরণের সূচনা করেন তাঁদের অন্যতমা ছিলেন এই মিসেস এম রহমান। কবি তাঁর ‘বিষের বাঁশী’ কাব্যগ্রন্থটি এই মহীয়সী নারীকে উৎসর্গ করেন। ১৯২৬ সালের ২০ ডিসেম্বর এঁর অকালমৃত্যুতে কবি আত্মীয় বিয়োগের আঘাত অনুভব করেন। মাতৃসমা এই নারীকে নিয়ে রচনা করেন দীর্ঘ এক শোকবন্দনা, যা অবিস্মরণীয় হয়ে আছে।
আরও পড়ুন-জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে কুর্মিদের ছদ্মবেশে হামলা, কড়া বার্তা অভিষেকের
নজরুলের সৃষ্টিতে নারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে বারবার দেখা দিয়েছে। নারীর মাতৃরূপ, বধূরূপ, প্রেমিকা ও কন্যারূপ নানাভাবে স্থান পেয়েছে কবির বিভিন্ন রচনায়। নারীদের অসহায়ত্ব, বঞ্চনা, গ্লানি ও অসম্মানের বিরুদ্ধে বারবার গর্জে উঠেছে কবির শাণিত কলম। কবি চাইতেন শতাব্দীর পর শতাব্দী লাঞ্ছিত নারী জেগে উঠুক। সমবেত প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠুক। কবি বারবার নারীর সমানাধিকার নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন। গেয়েছেন শিকল ভাঙার গান। ‘বারাঙ্গনা’ কবিতায় তিনি লিখেছেন এক অমোঘ সত্য। সোচ্চারে ঘোষণা করেছেন : ‘শুন ধর্মের চাঁই, জারজ কামজ সন্তানে দেখি কোনো প্রভেদ নাই! অসৎ মাতার পুত্র যদি জারজ পুত্র হয়, অসৎ পিতার সন্তানও তবে জারজ সুনিশ্চয়।’
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
কবি উপলব্ধি করেছিলেন নারীর অবদান স্বীকৃত হয় না। ইতিহাসের পাতায় স্থান পায় না নারীর অনুপ্রেরণা, প্রেম, ত্যাগ ও তিতিক্ষা, সৃষ্টিশীলতা ও চিরায়ত মহিমা। তাঁর অমর গান ‘জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা’ প্রগতিশীল সংগীতের ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে জেগে আছে।
কবির জীবনে নারীরা এসেছেন নানা রূপে। সবই যে প্রণয় সম্পর্ক তা তো নয়! সম্পর্কের এই বহুমাত্রিকতা বুঝতে না চাইলে কবির জীবনে আসা নারীদের প্রকৃত মূল্যায়নে ঘাটতি থেকে যাবে। কখনও রাণু সোম (প্রতিভা বসু), কখনও নোটন মৈত্র বা জাহানারা চৌধুরী, কখনও-বা কানন দেবীর সঙ্গে তাঁর তৈরি হয়েছে নানা মাত্রার সম্পর্ক। যেমন সহজ সারল্যের সঙ্গে কবি জড়িয়েছেন এইসব সম্পর্কে, ঠিক তেমনি বাঁধন ছেঁড়ার সহজাত নৈপুণ্যে বেরিয়েও এসেছেন। শুধু স্থায়ীরূপে থেকে গেছে এইসব সম্পর্কের সাক্ষী হয়ে থাকা কিছু অসামান্য গান ও কবিতা। মন্ত্রের মতো, শ্লোকের মতো সেগুলি বাংলা সাহিত্যে ও সংগীতে বিরাজমান।
আরও পড়ুন-চর্চায় আকাশ, নজরে শুভমন-রশিদ, জিতলেই সামনে চেন্নাই
প্রত্যাখ্যানের রূঢ় রূপটি কবিকে চিনিয়েছিলেন এক শ্যামাঙ্গী তরুণী, যাঁর নাম ফজিলাতুন্নেসা। কবির উত্তাল হৃদয়ের আবেগমথিত নিবেদন নির্দয়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এই নারী। কবির ভালবাসার মর্যাদা দেননি তিনি। ফিরে তাকাননি কবির দিকে। বরং ব্যঙ্গবিদ্রুপ আর অবহেলায় ক্ষতবিক্ষত করেছেন কবির কোমল হৃদয়। এর ফলে বিপর্যস্ত হয় কবির প্রেমিক-মন। অন্য ধাতুতে গড়া এই ব্যতিক্রমী মহিলা কঠোর আচরণ করেছিলেন কবির সঙ্গে। কবির নির্বাচিত কাব্যসংকলন ‘সঞ্চিতা’ কবি উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন এই ফজিলাতুন্নেসাকে। তাতে আপত্তি জানান এই নারী। এই অপমান ভুলতে বেশ সময় লেগেছিল নজরুলের। কিন্তু এই হৃদয় বিদীর্ণ-করা আঘাতের ফলে বাংলা সাহিত্য পেয়েছে কিছু অবিস্মরণীয় গান ও কবিতা। অপ্রাপ্তির দংশন কবিকে জর্জরিত করেছে ঠিকই, কিন্তু ধ্বংস করতে পারেনি বরং খাঁটি সোনায় রূপান্তরিত করেছে। এই কবিই তো লিখেছেন,
‘পরোয়া করি না বাঁচি বা না বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে’। যুগের হুজুগে, কালের আহ্বানে, ইতিহাসের ডাকে বারবার সাড়া দিয়েছেন কবি। সব ফেলে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেশ ও সমাজের কাজে। বিদ্রোহী, প্রতিবাদী ইত্যাদি নানা বিশেষণে কবিকে ভূষিত করা হলেও তাঁর অন্তরের প্রেমিক সত্তাটিই যে সমস্ত সৃষ্টির মূল অনুঘটক তা কিন্তু স্বীকার করতেই হয়।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সহধর্মিণী বাসন্তীদেবীকেও সীমাহীন শ্রদ্ধা করতেন কবি।
স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরাঙ্গনা এই মহীয়সীও খুবই স্নেহ করতেন প্রতিভাবান কবিকে।
নজরুলের কবিতায় এই মহীয়সী অগ্নিকন্যার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা লক্ষ্য করা যায়।
চট্টগ্রামের শামসুন নাহার মাহমুদের সঙ্গে কবির ছিল স্নেহের সম্পর্ক। মোট তিনবার চট্টগ্রাম সফরকালে নাহারদের বাড়িতেই আতিথ্য গ্রহণ করেন নজরুল এবং এই বাড়িতেই রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত কিছু কবিতা। আরও বেশ কয়েকজন নারীর মাতৃস্নেহ, শ্রদ্ধাভক্তি, মায়ামমতা ও অকৃত্রিম ভালবাসা পেয়েছেন মহাপ্রতিভা নজরুল। অগ্নিকন্যা হেমপ্রভা তেমনই উল্লেখযোগ্য এক নাম। তাঁকে নিয়েই রচিত কবির বিখ্যাত কবিতা ‘হেমপ্রভা’।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী আজ এগরায় মৃতদের পরিবারের পাশে
১৯২৪ সালের ২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের চারদিনব্যাপী অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন নজরুল। এই সভাকে কেন্দ্র করে এক করুণ ঘটনা ঘটে।
কবির গান ও আবৃত্তিতে মুগ্ধ হয়ে জনৈকা হিন্দু মহিলা নিজের গলার হার খুলে কবির গলায় পরিয়ে দেন। এই ঘটনাটিকে তৎকালীন সমাজ সুস্থভাবে খোলামনে মেনে নিতে পারেনি। সকলেই মহিলাকে ধিক্কার জানান। সমাজের গঞ্জনায় অতিষ্ঠ হয়ে এই মহিলা নাইট্রিক অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
উল্লেখ্য, নার্গিসকে ত্যাগ করে চলে আসার দীর্ঘ ১৫ বছর পরে নজরুল নার্গিসের একটি মিনতিপূর্ণ চিঠি পান। সে-চিঠির প্রত্যুত্তরে নজরুল রচনা করেন এক কালজয়ী গান, ‘যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই, কেন মনে রাখো তারে, ভুলে যাও তারে ভুলে যাও একেবারে’।
এই গানে যেন ধ্বনিত হয় চিরবিরহী প্রেমিকের অন্তর্ভেদী মর্মগাথা।
প্রতিভা বসু ও উমা (নোটন) মৈত্র, এই দুই প্রতিভাময়ী নারীকে নিজে তালিম দিয়ে অনেকগুলি গান শিখিয়ে গেছেন কবি। যে গানগুলি পরবর্তী সময়ে নজরুলগীতি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন-কিয়েভের উপর ফের ড্রোন হামলা মস্কোর
জাহানারা বেগম চৌধুরী, যাঁর ডাকনাম মীরা, কবি নজরুলের জীবনে যাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি, সেই জাহানারার খাতায় অনেকগুলি কবিতা ও গান লিখে দিয়েছিলেন কবি, যেগুলি ছিল কেবলমাত্র জাহানারার জন্য। গান শেখাতে গিয়ে শিল্পী কানন দেবীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কবি, এমন রটনাও নজরুলের সমকালে শোনা যেত। কিন্তু গুরু-শিষ্যার মধুর সম্পর্ক সামাজিক সমস্যাগুলিকে অতিক্রম করে সৃজনশীলতায় মগ্ন হওয়ার পথ খুঁজে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন-আলওয়ারে গণপিটুনিতে সাত বছর জেলের সাজা
কবির কাছে যাঁরা গান শিখেছেন তাঁদের অনেকেই ভারতবিখ্যাত। ইন্দুবালা দেবী, আঙ্গুরবালা দেবী, বিজনবালা ঘোষদস্তিদার, সুপ্রভা সরকার, ফিরোজা বেগম প্রমুখ শিল্পীর কণ্ঠে নজরুলের গানগুলি অমর হয়ে আছে। কবির জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নারীর উপস্থিতি কবির সাহিত্য ও সংগীতের মানসভূমিকে সুজলা সুফলা করে তুলেছে এমনকী স্বাধীনতা সংগ্রাম-সহ দেশ ও জাতির ডাকে নির্দ্বিধায় ঝাঁপিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে প্রেরণাদাত্রী রূপে বারবার দেখা দিয়েছেন এই সমস্ত শক্তিস্বরূপা।