লখনউ : বিজেপির স্বৈরাচারী খুনি চরিত্র প্রকাশ্যে। মহিলা রাজনৈতিক কর্মীও বাদ যাচ্ছে না মোদিভক্তদের আক্রমণ থেকে। আবার সেই উত্তরপ্রদেশ। যোগীর রাজ্য। যে রাজ্য হয়ে উঠেছে নজিরবিহীন অপরাধের পীঠস্থান। প্রধানমন্ত্রীর সভায় কালো পতাকা দেখিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন রীতা যাদব। রাজনৈতিক কর্মী। পুলিশ গ্রেফতার করে। দু’দিন পুলিশি হাজতবাসের পর জামিনও হয়। এরপর এক সন্ধ্যায় পার্টির কাজ সেরে ফিরছিলেন রীতা। পথ আটকায় বিজেপি আর সংঘের গুন্ডারা। রীতাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রথমে শ্লীলতাহানি। ক্ষুব্ধ রীতা অভিযুক্তদের একজনকে চড় কষাতেই গুলি। রক্তাক্ত রীতা বাঁচার লড়াই করছেন হাসপাতালের বেডে। আর ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহল উত্তপ্ত।
আরও পড়ুন-পিন্টুর ‘খোঁজে’ বিজেপি
নভেম্বরে সুলতানপুরে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও। জনতার মাঝে দাঁড়িয়ে সেখানে রীতা স্লোগান তোলেন, ‘যোগী-মোদি মুর্দাবাদ’, ‘মোদি তুম ওয়াপস যাও’। সঙ্গে কালো পতাকা। স্বাভাবিকভাবেই সহ্য হয়নি বিজেপির পুলিশের। গ্রেফতার করার পর দু’দিনের হাজতবাস হয়। জামিন পেয়েই রীতা দলের কাজকর্ম সেরে সোমবার ৩ জানুয়ারি বাড়ি ফিরছিলেন। বসেছিলেন বোলেরো গাড়িতে। ব্রিজের ওপর তিনজন বাইক নিয়ে তাঁর পথ আটকায়। প্রথমে চালকের সঙ্গে বচসা। এরপর রীতাকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে মোদির সভায় কেন কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন তার কারণ জানতে চায় গুন্ডারা।
আরও পড়ুন-মা মাটি মানুষের গানে শিল্পী
বেয়াদপদের শায়েস্তা করতে পাল্টা চড় কষিয়ে দেন রীতা। নিমেষের মধ্যে রিভলভার বের করে রীতাকে গুলি করে পালিয়ে যায় বিজেপির গুন্ডারা। রক্তাক্ত রীতা হাসপাতালে লড়ছেন এবং যোগীরাজ্যের আইনের হাল এটাই ২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। এটাই এখন বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশের চিত্র। এবং তার চেয়েও বড় কথা হল, প্রতিবাদ করলে বিজেপিশাসিত রাজ্যে পরিণতি কী হচ্ছে তার উদাহরণ রীতা যাদবের ঘটনা। রীতা উত্তরপ্রদেশ সমাজবাদী পার্টির নেত্রী ছিলেন। সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে।