সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর গবেষক মহিলাকে উপর্যুপরি শারীরিক নিগ্রহের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করেছে চিঠি দিয়ে জানতে চাইল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। পাশাপাশি অধ্যাপক সংগঠনের দুই পদাধিকারী অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য এবং কৌশিক ভট্টাচার্যের জ্ঞাতার্থেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানায় তারা।
আরও পড়ুন-লালুর সঙ্গে স্মৃতি রোমন্থনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
১৫ জুন পাঠানো চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের আন্ডার সেক্রেটারি অঞ্জুমোহন গোলহোত্রা অধ্যাপক সংগঠনের দুই পদাধিকারীর ই-মেলে ৮ জুন অভিযোগপত্রের প্রাপ্তিস্বীকারও করেন। অধ্যাপক সংগঠনের অভিযোগ, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মহিলা গবেষকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যাপক রাজর্ষি রায়ের অপরাধকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি স্পষ্ট উল্লেখ করলেও অভিযুক্ত রাজর্ষি রায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি বিশ্বভারতী। অভিযোগ, রাজর্ষি রায় ২৮ দিনের বেশি জেল হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও সার্ভিস রুল অনুযায়ী তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়নি। অথচ কথায় কথায় সহকর্মীদের সাসপেন্ড নোটিশ ধরান উপাচার্য। যদিও বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিডিয়া রিপোর্ট দেখে বিশ্বভারতী কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না।
আরও পড়ুন-নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে সাংসদ মৌসম
এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে রাজর্ষি রায়ের বিরুদ্ধে প্রশাসন কিছু জানায়নি। উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ এডুকেশন কলেজের সহ-অধ্যাপিকা ২০১৬ থেকে বিনয় ভবনের এডুকেশন বিভাগে পিএইচডি করছিলেন। তাঁর গাইড বিশ্বভারতীর অধ্যাপক রাজর্ষি রায় গবেষণাপত্র সংশোধনের অছিলায় কখনও হোটেলে, কখনও বিদেশে সেমিনারে নিয়ে গিয়ে, কখনও ট্রেনে, স্কুটি বা প্রাইভেট গাড়িতে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা, শারীরিক নিগ্রহও করেন। বাধা দেওয়ায় গবেষিকা অধ্যাপিকাকে হুমকি-সহ গবেষণায় অসহযোগিতা করে সইও করেননি। বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে লিখিতভাবে সব জানিয়ে অভিযোগ করেন ওই গবেষিকা।