সংবাদদাতা, শ্রীরামপুর : মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল শ্রীরামপুর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাসনগরে প্রস্তাবিত সিল্ক হাবের (Silk Hub) জমির সীমানা নির্ধারণের কাজ খতিয়ে দেখলেন মঙ্গলবার। বিধায়ক অরিন্দম গুঁই, শ্রীরামপুরের (Serampore) পুরপ্রধান গিরিধারী শা, কাউন্সিলর পিন্টু নাগ ও সন্তোষকুমার সিংয়ের সঙ্গে দলে ছিলেন জেলা ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, সিল্ক হাবের জন্য ২০ একর জমির সীমানা চিহ্নিতকরণ করা হয়। ২০১৭-য় তারকেশ্বরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রীরামপুরে সিল্ক হাব (Silk Hub) প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। সেসময় পুরপ্রধান ছিলেন অমিয় মুখোপাধ্যায়। গত বিধানসভা ভোটের আগে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সিল্ক হাবের জমি জরিপ করতে গিয়ে রাজনৈতিক বাধার মুখে পড়েন। তবে রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সিল্ক হাবের কাজে গতি আনতে তৎপর হয়। ফলে এখানে বিকল্প কর্মসংস্থানের আশায় বুক বাঁধছেন প্রভাসনগর ও আশপাশের বাসিন্দারা। বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, বিজেপি ও সিপিএমের ষড়যন্ত্রে সিল্ক হাবের কাজ রুদ্ধ হয়েছিল। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। হাজার হাজার ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। পুরপ্রধান গিরিধারী শা বলেন, আমাদের সরকার বৃহৎ স্বার্থে কাজ করছে। আশা করছি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। স্থানীয় কাউন্সিলর পিন্টু নাগ বলেন, শাড়ি ছাপা ও ব্লক তৈরির শিল্পে শ্রীরামপুরের নাম ইতিহাসখ্যাত। সেই কারণেই এই শিল্পকে রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হয়েছেন। মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, প্রস্তাবিত সিল্ক হাবের জন্য জমি জরিপ হল। ভূমি ও ভূমিরাজস্ব এবং জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন-ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের উন্নয়নে নজর জেলা পরিষদের বাজেটে, গ্রামীণক্ষেত্রে বিপুল বরাদ্দ