প্রতিবেদন : সোমবার ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে হল একটি ঐতিহাসিক গির্জা। এখানেই ব্রিটেনের রাজা ও রানিদের মাথায় রাজমুকুট পরানো হয়। এই গির্জাতেই রানির সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের বিবাহ হয়েছিল। এই গির্জাতেই এলিজাবেথের মাথায় উঠেছিল রানির মুকুট। সেই গির্জাতেই চিরবিদায় জানানো হল রানিকে।
আরও পড়ুন-মাওবাদী ডেরার তকমা ঘোচাতে রোজ জাতীয় সংগীত
শেষকৃত্যে শামিল থাকলেন বিশ্বের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা। তবে রানির শেষকৃত্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে প্রথম থেকেই মস্কোর বিরোধিতা করে এসেছে ব্রিটেন। সে কারণেই পুতিনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাশিয়ার পাশাপাশি বেলারুশ, মায়ানমারের কোনও রাষ্ট্রনেতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উত্তর কোরিয়া ও নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁদের কেউ শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেননি। পরিবর্তে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরা হাজির ছিলেন। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকেও আমন্ত্রণ জানানোয় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিরোধী নেতা মানসিক ভারসাম্যহীন, অভিষেককে ভয় পেয়ে আক্রমণ
যদিও জিনপিং উপস্থিত ছিলেন না। চিনের তরফে হাজির ছিলেন সেদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সংবাদসংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে প্রায় ২ হাজার মানুষের বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে ব্রিটেনের রাজপরিবারের সব সদস্যই হাজির ছিলেন। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ছিলেন রানির বন্ধু ও রাজপ্রাসাদের কর্মীরাও। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা ও রাজপরিবারের সদস্যরা রানির শেষকৃত্যে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই রানির আত্মীয়তা ছিল। ভারতের তরফে শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পড়শি দেশ বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও জাপানের সম্রাট নারুহিতো এবং তাঁর স্ত্রী মাসাকো। ভুটান রাজও সস্ত্রীক শেষকৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রানির শেষকৃত্যে যোগ দেন কমনওয়েলথের নেতারাও।