কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলার (Book Fair) ৪৫তম বর্ষের শেষদিনে এসবিআই অডিটোরিয়ামে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে, সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, তাপস সাহা, শিবেন্দু ভট্টাচার্য, রাজু বর্মন, স্পেনের প্রতিনিধি (অ্যাম্বাস্যাডার) বসে মারিয়া ঋডাও, এল-আর মিলিন্ডা, অস্কার পুজল। এখানে ঘোষিত হল আগামী বছরের বইমেলার (Book Fair) থিম। থিম কান্ট্রি হতে চলেছে স্পেন। স্পেনের এটি দ্বিতীয় বর্ষ। কারণ প্রথম ২০০৬ সালে কলকাতা বইমেলায় থিম কান্ট্রি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল স্পেন।
আরও পড়ুন – পড়ে থাকা জমিতে শিল্প গড়বে রাজ্য
প্রায় দু’বছর বন্ধ থাকার পরেও কলকাতা বইমেলায় বইপ্রেমীদের বইয়ের প্রতি টান এবং তাঁদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে খুশি গিল্ড কর্তারা। তাঁদের তরফ থেকে জানানো হল ১৩ মার্চ পর্যন্ত আনুমানিক কুড়ি কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এর বেশ কিছুক্ষণ পরেই ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেখান উপস্থিত ছিলেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে, সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়, সুরেশ দাস, বাণী বসু, আইপিএস ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার, বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোঃ আবুল মনসুর, তৌফিক সহ বিশিষ্টরা।
সাহিত্য জগতে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কার পেলেন বাণী বসু। অন্যদিকে প্রকাশনা জগতে অবদানের জন্য পুরস্কার পেলেন সুরেশ দাস। এরপর একে একে বাংলাদেশ, স্পেন এবং ইরানের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হল স্মারক। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রীতি সম্মান এবং নগর উন্নয়ন ও পুরসভা বিষয়ক কাজের জন্য স্মারক তুলে দেওয়া হয় মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর হাতে। বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তথ্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে কাজের জন্য তাদের প্রতিনিধিদের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া বিধাননগর সিটি পুলিশের হাতে, দমকল ও জরুরি পরিষেবার জন্য, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ বিভাগের জন্য স্মারক তুলে দেওয়া হয় তাদের প্রতিনিধিদের হাতে।
ডিজিটাল পার্টনারের জন্য স্মারকের তালিকায় জায়গা করে নিল সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। এছাড়াও স্মারক ও পুরস্কারের তালিকায় ছিল অনেক নাম। এছাড়াও পুরস্কৃত হলেন ৩৬৫ দিন প্রকাশক প্রাইভেট লিমিটেড, অনুষ্টুপ, সাহিত্য ভারতী পাবলিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড ছাড়াও আরও অনেকে।