প্রতিবেদন : গরিবের আলুসেদ্ধ আর ভাতের স্বপ্নও ক্রমশ পরিণত হচ্ছে বিলাসিতায়! কারণ আলুর দামে ভিরমি খাচ্ছেন ক্রেতা। চলতি সপ্তাহের শেষ দু-তিনদিনে জ্যোতি আলুর দাম একেবারে লাফিয়ে বেড়েছে ৬ টাকা। চন্দ্রমুখীর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকায়। দাম যাতে আর না বাড়ে তার জন্য রাজ্য সরকার টাস্ক ফোর্স তৈরি করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আলু-ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজ্যে প্রতি বছর এক কোটি ১০ লক্ষ মেট্রিক টন আলুর ফলন হয়। এবার তা কমে ৮০ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্য ফলন কম হয়েছে। বীজ রোপণের সময় অকালবৃষ্টির জল জমিতে দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বীজ ও গাছ নষ্ট হয়। পেট্রোল-ডিজেলের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধির জেরও পড়েছে। এখন যে আলু পাওয়া যাচ্ছে, তার বেশিরভাগটাই মাঠ থেকে সরাসরি বাজারে আসছে। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ হিমঘর এখনও খোলেনি। মজুত আলু কয়েকদিন পর বাজারে ঢুকলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
আরও পড়ুন-ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কোটের্ই
হিমঘর মালিকদের সংগঠনের কর্তা পতিতপাবন দে জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে বেশিরভাগ হিমঘর খুলে যাবে। বাজারে ঢুকবে মজুত রাখা আলু।
রাজ্য সরকারের বাজার সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, কলকাতার পাইকারি বাজারে আলুর দাম হঠাৎ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। কৃত্রিমভাবে দাম যাতে না বাড়ানো হয়, সেজন্য অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন-উদ্ধারে প্রস্তুত সাত হাজার কর্মী
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবার হিমঘরে আলু মজুত করতে কেজিতে ১৮ টাকার মতো খরচ হয়েছে। হিমঘরের ভাড়া ও অন্য খরচ হবে আরও ৬-৭ টাকা। হিমঘরের ভাড়া বেড়েছে। প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ১০ মে ব্যবসা বন্ধের ডাক দিয়েছে। আবহাওয়াজনিত কারণে দক্ষিণবঙ্গে আলুর ফলন মার খেয়েছে। চন্দ্রমুখীর ফলন তো খুবই কম। উত্তরবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আলু এনেও দক্ষিণবঙ্গের হিমঘরগুলির ধারণ ক্ষমতার ২০ শতাংশ পূরণ করা যায়নি