প্রতিবেদন: পুলিশি হেফাজতে প্রাক্তন সাংসদ ও গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের হত্যাকাণ্ডের পর যোগীপুলিশের (Uttar Pradesh Police) হিটলিস্টে আরও ৬১ জন অভিযুক্তের নাম! বিচার ও আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে অপরাধের শিকড়ে না পৌঁছে ভুয়ো এনকাউন্টারের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করাই এখন উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের দস্তুর হয়ে উঠেছে।
পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে রাজনীতিক- গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফের হত্যার পর যোগী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গোটা দেশে। কথায় কথায় রাজ্য সরকারের এনকাউন্টারের প্রবণতা নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। তবে এরপরেও নিজের রাজ্যে অপরাধীদের নিকেশ করতে প্রমাণহীন এনকাউন্টারই সবচেয়ে পছন্দের ব্যবস্থা উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের। সাজানো সংঘর্ষে অভিযুক্তদের মেরে ফেলে প্রমাণ লোপাটের কৌশল নিয়ে যত বিতর্কই হোক না কেন, তাতে আমল দিতে রাজি নয় যোগী সরকার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি হলেও এনকাউন্টারের ছক থেকে পিছু হঠতে রাজি নয় প্রশাসন। সূত্রের খবর, আতিক আহমেদের পর যোগীর পুলিশের (Uttar Pradesh Police) হিটলিস্টে রয়েছে আরও ৬১ জন দাগি অপরাধী। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সবুজ সঙ্কেত পেলেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেমে উত্তরপ্রদেশের ট্রিগারহ্যাপি পুলিশ। রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৬১ জনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে মদ মাফিয়া, জঙ্গল মাফিয়া, বালি মাফিয়া, গরু পাচারকারী সহ অন্যান্য অপরাধী। এইসব অপরাধীদের হাতে এবং ভাতে মারতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এনকাউন্টারের পাশাপাশি এই অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনের পথ ছেড়ে আইনের অপব্যবহারের যে শর্টকাট পথ নিচ্ছে যোগী প্রশাসন তাতে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বেলাগাম, বেআইনি এনকাউন্টারের।
আরও পড়ুন-বলজিৎ জীবিত