প্রতিবেদন : তিনমাস ধরে দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে অধ্যাপকদের হাজিরা ৭৫ শতাংশের কম। এইভাবে চলতে থাকলে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তি স্থগিত রাখতে হবে। উদ্বেগ প্রকাশ করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। কমিশনের আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, আধারভিত্তিক বায়োমেট্রিক তথ্য থেকে অধ্যাপকদের কম হাজিরার বিষয়টির নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে দেশের অর্ধেকের বেশি মেডিক্যাল কলেজকে নোটিশ পাঠিয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন।
আরও পড়ুন-এজেন্সি ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে যাদবপুরে মিছিলে গর্জন
হাজিরা সংক্রান্ত অনিয়মের ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং পাঞ্জাবের অর্ধেকের বেশি মেডিক্যাল কলেজকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে শীর্ষে রয়েছে বিজেপির ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ।
উত্তরপ্রদেশের ৬৮টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে ৬৫টি মেডিক্যাল কলেজকেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশই এমন একটি রাজ্য, যেখানে বেশিরভাগ মেডিক্যাল কলেজের কোনও অধ্যাপক বা কর্মীদের কোনও হাজিরার রেকর্ড নেই। বিজেপি শাসিত অন্যতম আরেকটি রাজ্য মধ্যপ্রদেশের ২৭টির মধ্যে ২০টি মেডিক্যাল কলেজে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কর্নাটক এবং কেরলের মতো রাজ্যেও অর্ধেকের কাছাকাছি মেডিক্যাল কলেজে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংখ্যক অধ্যাপক নিয়োগ করতে হবে। যদি কোনওভাবে এই প্রয়োজন না মেটানো সম্ভব না হয়, তাহলে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভর্তি স্থগিত রাখতে হবে। এই নিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষে দেশের শতাধিক মেডিক্যাল কলেজকে নোটিশ পাঠাল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। অধ্যাপকের সংখ্যার ঘাটতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ মেডিক্যাল কলেজকে তাদের আবেদনের ভিত্তিতে পড়ুয়া ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নাহলে পুরো মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে । যেখানে মেডিক্যাল কলেজ সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ ঘাটতি মেনে নেয়, সেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এমন কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ নেই যেখানে ঘাটতি ২০ থেকে ৩০ শতাংশের নিচে রয়েছে। ডাক্তারি পঠনপাঠনে অব্যবস্থার চিত্রটা এতেই স্পষ্ট।