বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী। ধস নেমে বিপর্যস্ত পাহাড়, জলস্ফীতি বেড়ে ফুঁসছে সমুদ্র। এসেছে মৃত্যুর খবরও। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, ধস, চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০ জনের।
আরও পড়ুন-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক কম ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলা, মিলেছে প্রমাণ
দক্ষিণবঙ্গে প্রবল দুর্যোগে বনগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মা মিতা অধিকারী ও ছেলের ঋষব অধিকারির। বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার পাথড়ডোবা গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে আবদুল ওয়াস খান(৬৫) নামে এক প্রৌঢ়ের। পশ্চিম বর্ধমানের রঘুনাথগঞ্জ থানায় জামুয়ার গ্রামেও মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে নাটু মণ্ডল (৭৬) নামে এক বাসিন্দার। টানা বৃষ্টিতে ইলেকট্রিকের তারে জল লেগে শটসার্কিটের ঘটনাও ঘটেছে। এই ঘটনায় হাওড়ায় বিদু্ৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় হেমন্ত সিং(৩৫) নামে এক যুবকের। প্রবল বৃষ্টিতে গাছ চাপা পড়ে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুরে। আসানসোলে বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় মা ও শিশু কন্যার। মা লক্ষ্মী এবং শিশু কন্যা অনুষ্কাকে গুরুতর অবস্থায় হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। পশ্চিম মেদিনীপুরে গোওয়ালঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় পুষ্পরাণি রুইদাস (৫৫) নামে এক প্রৌঢ়ার। প্রবল বর্ষণের জেরে নদিয়ায় ভেঙে পড়ে একটি পুরনো বাড়ি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, পুজো দিলেন মমতা-অভিষেকের মঙ্গল কামনায়
উত্তরবঙ্গেও প্রবল দুযোর্গে পাহাড়ে ধস নামে। দার্জিলঙে মৃত্যু হয় দু’জনের। একটানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ধসের ফলে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় ২৯ মাইল এলাকায় ধস নামে বলে খবর। আলিপুরদুয়ারের অধিকাংশ রাস্তাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যদিও প্রশাসনের তৎপড়তায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পাহাড়ের রাস্তা স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তৎপরতার প্রশাসন।