বাসুদেব ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘ভোরের আলো’কে কেন্দ্র করে গজলডোবা এলাকায় তৈরি হচ্ছে হোম-স্টে। ভোরের আলোর আশপাশের গ্রাম, যেমন সরস্বতীপুর, মিলনপল্লি-সহ প্রায় সবগুলি গ্রামেই হোম-স্টে তৈরি হবে। মাস তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে এসে ঘোষণা করেন, যাঁরা হোম-স্টে করবেন তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। তাতে একদিকে যেমন মানুষ পর্যটন ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হবেন, অন্যদিকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীও হবেন।
আরও পড়ুন-কালনার ‘কোনি’ সায়নীকে নিয়ে তথ্যচিত্র কেনিয়া চলচ্চিত্র উৎসবে
এছাড়াও পর্যটকরা বেড়াতে এসে চিরাচরিতভাবে হোটেল বা রিসর্টে থাকার থেকে বাইরে এসে একটু আলাদাভাবে ঘরের মতো পরিবেশে থাকতেও পারবেন। পাবেন একদম নিস্তব্ধ, নিরিবিলি পরিবেশ, থাকবে না কোনও চোখ ধাঁধানো আলো। একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে থাকবেন পর্যটকরা। তাছাড়া পর্যটকরাও ইদানীং হোম-স্টেমুখো হয়েছেন। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং-সহ পাহাড়ি এলাকার অফবিট জায়গাগুলি এবং ডুয়ার্স ও বক্সা এলাকার অধিকাংশ জায়গাতেই হোম-স্টে গড়ে তুলেছেন সেখানকার বাসিন্দারাই। ফলে বাড়ির পরিবেশ পাওয়ায় পর্যটকদের আকর্ষণও হোম-স্টেগুলির প্রতি ক্রমবর্ধমান। গজলডোবা এলাকায় সরকারিভাবে ১০০টি হোম-স্টের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বলে জানান গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তথা জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
আরও পড়ুন-ইসিএল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দুর্নীতি, রানিগঞ্জে আবার খনি এলাকায় ধস
তিনি আরও জানান, আবেদনকারীকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে, তারপর তাঁদের হোম-স্টের কাজের অগ্রগতি দেখে বাকি ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে হোম-স্টে তৈরি শেষ করতে হবে। তৈরি হয়ে গেলে সরকারি ওয়েবসাইটে সেগুলির নাম-ঠিকানা এবং যোগাযোগের নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। পর্যটকরা ওয়েবসাইট দেখেই সরাসরি মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়ে সেখানে এসে থাকতে পারবেন। এর ফলে পর্যটনের প্রসার বাড়ার পাশাপাশি এলাকারও আর্থ-সামাজিক উন্নতি ঘটবে।