এই নিয়ে ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে (Manipur) বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। মেতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতির সংরক্ষণ নিয়ে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি বশে আনতে নামানো হয়েছে সেনা, অসম রাইফেলসের বাহিনী। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিলেন ।
আরও পড়ুন-স্বামীর সম্পত্তিতে ‘গৃহবধূ’ স্ত্রীর অধিকার সমান, স্পষ্ট করে দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট
জানা গিয়েছে সেনাবাহিনীকে ঘিরে রেখে ১২ জন বন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। নেতৃত্বে ছিলেন কয়েকজন মহিলা। সেনা বাহিনীর তরফে এই মর্মে জানানো হয়েছে, শনিবার মণিপুরের কাঙ্গলেই ইয়াওল কান্না লুপ দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর ১২ জনকে আটক করা হয়। হঠাৎ করেই প্রায় ১৫০০ জনের এক দুষ্কৃতী দল সেনার উপরে চড়াও হয় । মহিলা ও স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে ওই বিশাল দুষ্কৃতী দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসেএবং ওই ১২ জন বন্দিদের ছাড়ানোর দাবি তোলে। প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরী হওয়ার ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী। অবশেষে ছেড়ে দেওয়া হয় ১২ জনকে।
আরও পড়ুন-প্রয়াত ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র বাপিদা
সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পসের তরফে এই বিষয়ে টুইটে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে পূর্ব ইম্ফলের ইথাম গ্রামে অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। সাধারণ মানুষের সমস্যা এড়াতে নির্দিষ্ট কিছু জায়গাতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। মোট ১২ জন কেওয়াইকেএল দুষ্কৃতীকে অস্ত্রশস্ত্র সহ আটক করা হয়। তাদের নিয়ে ফিরছিল সেনা, সেই সময় ১২০০ থেকে ১৫০০ জনের একটি দুষ্কৃতী দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন মহিলারা, তাঁরা হামলা করে। সেনা বাহিনীকে তাদের অভিযানে বাধা দেওয়া হয়। অনুরোধ করলেও, পথ ছাড়েনি দুষ্কৃতীরা। প্রাণহানির আশঙ্কায় সেনা সংঘর্ষ এড়ায় এবং আটক ১২ জনকে মুক্তি দেয়।