এনসিবির বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ঘুষের বিস্ফোরক অভিযোগ

তোলপাড় রাজনীতি

Must read

প্রতিবেদন : এবার বিস্ফোরক অভিযোগে বিদ্ধ খোদ তদন্তকারী এজেন্সিই। মুম্বই মাদককাণ্ডে শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ার জন্য এক প্রত্যক্ষদর্শীকে এনসিবির পক্ষ থেকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগ ঘিরেই তোলপাড় মহারাষ্ট্রের রাজনীতি।

বলিউড বাদশার পুত্রের জেলবন্দি হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই লেগেছে রাজনীতির রং। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এনসিবিকে দিয়ে শাহরুখের পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। পক্ষপাতের অভিযোগ নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবির বিরুদ্ধে। এবার এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল। এনসিবির বিরুদ্ধেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করলেন মামলার এক প্রত্যক্ষদর্শী। ওই ব্যক্তির দাবি, আরিয়ান খান মামলায় ১৮ কোটি টাকার ঘুষ দেওয়া-নেওয়া হয়েছে।

প্রমোদতরীতে আরিয়ান খানের সঙ্গে এক ব্যক্তির তোলা সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের সূত্রপাত। ছবিতে আরিয়ানের সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তি এনসিবির কোনও সদস্য ছিলেন না। তাহলে তিনি কেন বা কী কারণে আরিয়ানের পাশে ছিলেন তা নিয়েই বিতর্ক বাধে। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম কেপি গোসাভি। তিনি একজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ। এই গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সইল ঘুষ দেওয়ার মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন। প্রভাকরের দাবি, তিনি নিজের চোখে ১৮ কোটি টাকা লেনদেন হতে দেখেছেন। কেপি গোসাভি এবং শ্যাম ডিসুজা নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে ১৮ কোটি টাকার একটি চুক্তি হয়। এই ১৮ কোটি টাকা থেকেই ৮ কোটি টাকা পাওয়ার কথা এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের। প্রভাকরের দাবি, সমীর ওই টাকা ঘুষ হিসেবেই পেতেন। সাক্ষী হিসাবে সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন-ত্রিপুরা: তিন শতাধিক কর্মী-সমর্থকের যোগদান তৃণমূল কংগ্রেসে, শুরু পুরভোটের প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ

যথারীতি প্রভাকরের এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে এনসিবি। যার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠছে সেই তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবেন। ঘুষ নেওয়ার যে অভিযোগ প্রভাকর করেছেন, সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পনাপ্রসূত। যদি তিনি প্রকৃতই এই বিপুল পরিমাণ টাকা নিতেন তাহলে কি এখনও আরিয়ানকে জেলে থাকতে হত? পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন সমীর। এনসিবির পক্ষ থেকে পাল্টা জানানো হয়েছে, আরিয়ান খান একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির পুত্র। কিন্তু মাদক মামলায় তাঁকে জেলে থাকতে হচ্ছে। তাই আরিয়ানকে ছাড়িয়ে আনতে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এনসিবির দফতরে আরিয়ানের পাশে বসে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন গোসাভি। পরবর্তী ক্ষেত্রে গোসাভির মোবাইল থেকে আরিয়ান অন্য কারও সঙ্গে কথা বলছেন। রাউত প্রশ্ন তুলেছেন, আরিয়ান গোসাভির ফোন থেকে কার সঙ্গে কথা বলছিলেন তা জানাক এনসিবি। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, মহারাষ্ট্রে বদনাম করতেই কেন্দ্রের ইশারায় এনসিবি চক্রান্ত করছে।

Latest article