২০১৯-এর ভোট হয়েছে সেনাদের মৃতদেহের উপর, ফের বিস্ফোরক সত্যপাল

পুলওয়ামার ঘটনার যথাযথ তদন্ত হলে নিশ্চিতভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযুক্ত হতেন।

Must read

প্রতিবেদন : ২০১৯-এর লোকসভা ভোট হয়েছিল সেনার মৃতদেহের উপর। পুলওয়ামার ঘটনার যথাযথ তদন্ত হলে নিশ্চিতভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযুক্ত হতেন। এমনকী, নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারতেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও। জেলে যেতে হত অনেক পদস্থ অফিসারকেও। রবিবার রাজস্থানের আলওয়ারে মোদি-শাহর বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন জম্মু-কাশ্মীর, গোয়া এবং মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা সত্যপাল মালিক।

আরও পড়ুন-হিরোশিমার মতই ক্ষতি ইউক্রেনের, দাবি জেলেনস্কির

উল্লেখ্য, গত মাসেই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকেই আঙুল তুলেছিলেন এই বিজেপি নেতা। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় সেনা জওয়ানদের উপর আক্রমণ চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই বছরই এপ্রিল মে মাসে ছিল লোকসভার নির্বাচন। পুলওয়ামা হামলার সময় মালিক ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল। গত মাসে মালিক স্পষ্ট বলেছিলেন, ঘটনার দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী প্রশাসন। সেনাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

আরও পড়ুন-নির্বাচনের আগে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক মধ্যপ্রদেশে

এমনকী, সেনারা বিমান চাইলেও তা দেওয়া হয়নি। তিনি গোটা ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীকে জানালে মোদি তাঁকে চুপ করে যেতে বলেছিলেন। পুলওয়ামা নিয়ে সত্যপালের ওই বিস্ফোরক মন্তব্যের কোনও জবাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে মেলেনি। সাধারণত মোদিকে কটাক্ষ বা কোনও কারণে আক্রমণ করা হলে সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দেয় বিজেপি। কিন্তু সত্যপালের মন্তব্য নিয়ে বিজেপিও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে।
রবিবার রাজস্থানের আরওয়ালে নতুন করে মুখ খুলে মোদি-শাহ তথা বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন সত্যপাল। পুলওয়ামার ঘটনা ছাড়াও আদানি এবং দুর্নীতির ইস্যুতেও মোদিকে কটাক্ষ করেছেন এই বিজেপি নেতা।

আরও পড়ুন-এ-মাসেই হতে পারে বিরোধী জোটের বৈঠক

তিনি বলেন, সংসদে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করেছিলেন, আদানির সংস্থায় বেআইনিভাবে নিয়োগ করা ২০ হাজার কোটি টাকা কার? আসলে ওই টাকা হল বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের দুর্নীতির টাকা। এ প্রসঙ্গে সত্যপাল দাবি করেন, তিনি যখন গোয়ার রাজ্যপাল ছিলেন সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, উল্টে তাঁকেই রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

Latest article