প্রতিবেদন : ভারতে প্রায় ২২.২ কোটি শিশু দারিদ্র ও জলবায়ু বিপর্যয়ের দ্বৈত প্রভাবের মধ্যে বাস করছে। এই সংখ্যাটা দেশের মোট শিশুর প্রায় ৫১ শতাংশ। শিশু অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সমাজসেবী সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন এবং বেলজিয়ামের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটি ব্রাসেলসের যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন-বিভ্রাট নিয়ে মেটার কাছে রিপোর্ট তলব
ওই দুই সংস্থার করা সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমগ্র এশিয়ায় প্রায় ৩৫ কোটি (যার মধ্যে ভারতের ২২.২ কোটি) শিশু দারিদ্র ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে দ্বৈত সঙ্কটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশুর বাস কম্বোডিয়ায়। সেখানে ৭২ শতাংশ শিশু দ্বৈত সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এরপরে রয়েছে মায়ানমার (৬৪ শতাংশ) এবং আফগানিস্তান (৫৭ শতাংশ)। দ্বৈত সঙ্কটের মোকাবিলা করা শিশুদের সামগ্রিক সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বিশ্বে সর্বোচ্চ স্থান পেয়েছে। বিশ্বে ৭৭.৪ কোটি শিশু দ্বৈত সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। ভারতে ৩৫.১৯ কোটি শিশু বছরে অন্তত একবার চরম জলবায়ু বিপর্যয় দ্বারা প্রভাবিত হয় বলে অনুমান করা হয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ তারা দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছে। তাই নিজেদের রক্ষা এবং পুনরুদ্ধার করার মতো শক্তি তাদের বেশ কম।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েতে ভোট পাবে না ডেলি প্যাসেঞ্জার বিজেপি
ওই সমীক্ষা বলছে, উচ্চআয়ের দেশগুলিও এই সঙ্কট থেকে মুক্ত নয়। উচ্চ আয়ের দেশে বাস করে এমন ১২.১ কোটি শিশু জলবায়ু বিপর্যয় এবং দারিদ্র উভয়ের মুখোমুখি। আক্রান্ত ১০টি শিশুর মধ্যে চারজনের বেশি (১.২৩ কোটি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে। সেভ দ্য চিলড্রেন এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, জলবায়ু ও বৈষম্যের সঙ্কটকে জরুরি ভিত্তিতে মোকাবিলা করা না হলে মানবিক সঙ্কটের পুনরাবৃত্তি হবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে। জলবায়ু বিপর্যয় এবং বৈষম্যের সমস্যাগুলি গভীরভাবে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। এদের কোনও একটিকে অপরের থেকে বিচ্ছিন্নভাবে মোকাবিলা করা যায় না। ভারতে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুদর্শন সুচি বলেছেন, অসম, কেরল এবং ওড়িশার ভয়ংকর বন্যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে। এই ধরনের সঙ্কট মানুষকে আরও গভীর দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেয়।