সংবাদদাতা, কাটোয়া: তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরির হাত ধরে আড়াই হাজারের কাছাকাছি বিজেপি ও সিপিএম কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম হাইস্কুলের মাঠে ‘যোগদান’ কর্মসূচিতে এসে অনুব্রতর ঘোষণা, ‘বাংলার বিধানসভা ভোটে খেলা হয়েছে। মানুষ দু হাত ভরে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে।
আরও পড়ুন : পাখির চোখ ২০২৪, কর্মীদের ঝাঁপাতে বললেন নেত্রী সায়নী
এবার ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে আর তারপর দেশের লোকসভা নির্বাচনে খেলা হবে। সেখানেও জিতবে তৃণমূল।’ মঙ্গলকোট বিধানসভার বিভিন্ন এলাকার বিজেপি ও সিপিএমের ২,৪২৭ জন স্থানীয় নেতা-কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে জানালেন বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরি। ছিলেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী, জেলা নেতা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুব্রতর হুঁশিয়ারি, ‘১৫ তারিখ ত্রিপুরায় অভিষেকের কর্মসূচি। আমি নিজেও যাব। ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে ছক পাল্টে খেলা হবে। সেই খেলায় বিজেপি নাস্তানাবুদ হবে।’
আরও পড়ুন :কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনার
ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল ভোটে জয় শুধু ‘সময়ের অপেক্ষা’ জানিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার প্রতিটি মানুষের পাশে আছেন। তিনি মিথ্যা বলেন না। ভোটের আগে বলেছিলেন, দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ফের হবে। তিনি কথা রেখেছেন।’ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথীর মতো মানবিক প্রকল্পের উদাহরণ টেনে অনুব্রতর মন্তব্য, ‘দেশ বা অন্য রাজ্যের সরকার যা কোনওদিন কল্পনাও করতে পারেনি, মা-মাটি-মানুষের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা করে দেখিয়েছেন।’ এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘মিথ্যাবাদী, বেইমান, ধাপ্পাবাজ’ আখ্যা দিয়ে অনুব্রতর তীব্র আক্রমণ, ‘দেশটাকে বিক্রি করে দেওয়ার মতলব করছেন। একের পর এক জনবিরোধী নীতি নিচ্ছেন। মোদি দেশের মানুষকে নয়, শুধু নিজেকে ভালবাসেন। মোদি আর অমিত শাহের অন্যায় মানতে পারেননি বলে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন।’ গত বিধানসভা ভোটে মঙ্গলকোটের মানুষ তৃণমূলকে বিরাট ব্যবধানে জেতানোর জন্য অভিনন্দন জানিয়ে অনুব্রতর প্রতিশ্রুতি, ‘মঙ্গলকোটে আরও উন্নয়ন হবে।’