প্রতিবেদন : প্রথামাফিক স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরই মধ্য হাউলি গ্রামের কর্মকার পরিবারের অভয়া দুর্গার বিসর্জন হল ৩০ বছর পর। এতদিন একই মূর্তিতে নিত্য পুজোপাঠ চলছিল। পুরোহিতের নির্দেশে এবার ৩০ বছর পার করে ১৬ চৈত্র দেবীর বিসর্জন হয়। নতুন করে গড়া দেবীমূর্তির মন্দিরে প্রতিষ্ঠা হয় ৩ আশ্বিন। তবে প্রতিমা বিসর্জন হলেও ভাসানো হয়নি ঘট। দুই হাত বিশিষ্ট দেবীর হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না, বাহন হিসাবে থাকে জোড়া সিংহ।
আরও পড়ুন-পুজোর মুখে শ্রমিকদের জন্য সুখবর, বোনাস বাড়ছে ২৫০০
কর্মকার পরিবারের এক প্রৌঢ়া পুকুরে স্নান করতে নেমে প্রথমে একটি ঘট এবং পরে স্বপ্নাদেশ পেয়ে তালপাতার ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে শুরু করেন পুজো। তারপর থেকে পরিবারের সদস্যরা পালা করে পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই এই পুজোর বয়স হয়ে গেল প্রায় তিনশো। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, জাগ্রত এই দেবীর আশীর্বাদেই গ্রামের সবার আর্থিক পরিস্থিতি ভাল হয়েছে। তাঁরা সবাই পুজোয় সানন্দে অংশ নেন। বর্তমান প্রজন্মের সদস্যদের কাছ থেকে জানা গেল, জাগ্রত অভয়া দেবীর আশীর্বাদ না নিয়ে এই গ্রামের বাসিন্দারা কেউ নতুন কোনও কাজে হাত দেন না। অনেক অলৌকিক কাহিনিও চালু আছে এই দেবীকে ঘিরে।
আরও পড়ুন-সাংঘাতিক! হামাসের পরে ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালো হেজবুল্লা জঙ্গি সংগঠন
আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ নিষ্ঠার সঙ্গে পুজোয় যোগ দেন। নবমীতে বলির প্রথা চালু আছে আজও। তবে বিসর্জনের ধরাবাঁধা কোনও সময় নেই। পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পেয়ে জানালে তবেই স্থির হয় দিনক্ষণ। কাল পরিক্রমায় স্বাভাবিকভাবেই পুরনো দিনের তালপাতায় ছাওয়া মাটির মন্দির এখন বদলে গিয়েছে পাকা মন্দিরে। মহিষাসুর ছাড়া এই অন্য ধারার দেবীমূর্তি দেখতে পুজোর ক’দিন রীতিমতো ভিড় জমান স্থানীয় ও আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষজন।