রবিবার উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশী জেলার সিল্কিয়ারা টানেলের (Silkiara tunnel) এক অংশ ধসে পড়ে আর তার ফলেই প্রায় ৪০ জন শ্রমিক আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে এবং ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য ভারী খনন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, অন্যান্য সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা ৪০ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধারে কাজ করছে। আটকে পড়াদের পরিবারকে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের তরফে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তাদের উদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উদ্ধার অভিযান খতিয়ে দেখেছেন।
আরও পড়ুন-নেপালে নিষিদ্ধ হল টিকটক
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে উত্তরকাশী জেলায় একটি নির্মাণাধীন টানেলের একটি অংশ হঠাৎ করেই ধসে যায়। কমপক্ষে, ৩৬ জন আটকা পড়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও আজ সেটা ৪০ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরকাশীর এসপি অর্পণ যদুবংশী এই বিষয়ে জানান, যমুনোত্রী ন্যাশনাল হাইওয়েতে, সিল্কিয়ারা থেকে ডান্ডালগাঁও পর্যন্ত টানেলটি তৈরি করা হচ্ছিল। শুরুর প্রায় ২০০ মিটার দূরে টানেলটি ভেঙে গিয়েছে। এইচআইডিসিএল টানেল নির্মাণ করছে। সংস্থার আধিকারিকরা জানায় প্রায় ৩৬ জন টানেলে আটকে পড়েছেন এবং তাঁদের উদ্ধারকাজ চলছে।
আরও পড়ুন-দর্জি কানাইয়ালালের খুনিরা বিজেপির যঙ্গে যুক্ত! বিস্ফোরক রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী
টানেলের প্রায় ২৮০০ মিটার ভিতরে শ্রমিকরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত ছিল। প্রবেশ পথের ২০০ মিটার দূরে ধস নামে। শ্রমিকদের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। এরপরেও শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। পাইপে করে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। ঘটনার প্রথম থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালানো নির্দেশ দিয়েছেন সেই রাজ্যের SDRF-এর কমান্ডার মনিকান্ত মিশ্র। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে ইন্সপেক্টর জগদম্বা বিজালওয়ানের নেতৃত্বে এসডিআরএফ-এর একটি উদ্ধারকারী দল।