প্রতিবেদন: কড়া আইন করেও বন্দুকবাজের (US gun attack) হামলা ঠেকানো যাচ্ছে না আমেরিকায়। শনিবার ফের বন্দুকবাজের ভয়াবহ হামলা হল জো বাইডেনের দেশে। ফ্রান্সিসকো ওরোপেজাক নামে এক বন্দুকধারীর গুলিতে টেক্সাসে মৃত্যু হল এক শিশু-সহ পাঁচ জনের। মৃতরা সকলে হন্ডুরাস বংশোদ্ভুত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন আততায়ী সকলকেই মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। ৩৮ বছরের ফ্রান্সিসকোকে খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা কুকুর ও ড্রোনের সাহায্যে তল্লাশি চালানো হচ্ছে । টেক্সাসের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা সকলেই হিউস্টন থেকে প্রায় ৫৫ মাইল উত্তরে ছোট্ট শহর ক্লিভল্যান্ডে একটি বাড়িতে থাকতেন। ওই বাড়ির কাছাকাছি এক বাড়িতে থাকতেন ফ্রান্সিসকো। শনিবার সে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বন্দুক থেকে লাগাতার গুলি চালাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করেছিলেন তাঁর প্রতিবেশীরা। এরপরই সে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বাড়িটিতে ঢুকে পড়ে। তারপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে খুন করে পাঁচজনকে। ঘটনাস্থলে আট বছরের এক শিশু-সহ মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মৃতেরা সকলেই হন্ডুরাস বংশোদ্ভূত। এআর-১৫ রাইফেল দিয়ে গুলি চালায় আততায়ী।
আরও পড়ুন-রাহুলের মামলা শুনছেন বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বিচারপতি
হিউস্টনের শেরিফ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিল। বাড়িতে ঢুকেই সে প্রথমে যা ইচ্ছা তাই করবে বলে হুমকি দেয়। তারপরেই আততায়ী গুলি (US gun attack) চালিয়ে পাঁচজনকে খুন করে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছে ২টি শিশু। ওই বাড়িতে মোট ১০ জন ছিলেন বলে শেরিফ জানান। টেক্সাস পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরই অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। অভিযুক্ত মেক্সিকোর বাসিন্দা বলে পুলিশের দাবি। ফ্রান্সিসকো গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। আততায়ী কেন এই কাজ করল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কোনও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত সোমবারই ন্যাশভিলের একটি প্রাথমিক স্কুলে বন্দুকবাজের হানায় মৃত্যু হয় তিন শিশু-সহ ৬ জনের। পরিকল্পনা করে স্কুলের মানচিত্র এঁকে হামলা চালিয়েছিল ওই বন্দুকবাজ। এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।