নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগব্যায়াম অনুষ্ঠান বাবদ খরচ ৫৬ কোটি টাকা! চোখ কপালে ওঠার মতো তথ্য। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দু’দিনের কর্নাটক সফরে পুরসভা এবং জেলা প্রশাসন মিলিয়ে খরচ করা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তা পাকা করা বা পিচ দিয়ে রাস্তা মেরামতির খরচ। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে দুদিনের সফরে বিজেপি শাসিত কর্নাটকে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে সমস্ত এলাকা দিয়ে তাঁর কনভয় গিয়েছে, সেইসব এলাকাকে দৃষ্টিনন্দন করার পরিকাঠামো গড়তে এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন-দ্রৌপদীর ফোন
এবিষয়ে বেঙ্গালুরু পুরনিগম সরকারিভাবে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির সফর উপলক্ষে তাদের খরচ হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর বেঙ্গালুরু সফর উপলক্ষে রাস্তা মেরামত করতে এই অর্থ খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। মহীশূর সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার জি লক্ষ্মীকান্ত রেড্ডি জানিয়েছেন, পিচ দিয়ে রাস্তার সংস্কার করতে মোটামুটিভাবে ১০ লক্ষের বেশি টাকা খরচ হয়েছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের অনুমান, খরচের অঙ্ক আসলে ১০.৮ কোটি টাকা। মহীশূর জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, তাদের তরফে মোদির সফরে খরচ হয়েছে মোটামুটি ২৩ কোটি টাকা। জেলার ডেপুটি কমিশনার বাগাড়ি গৌতম জানিয়েছেন, শহর সৌন্দর্যায়নে খরচ হয়েছে ১০ কোটি টাকা, যোগ দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে খরচ হয়েছে ৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা এবং পূর্ত দফতরের তরফে খরচ করা হয়েছে ৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-ই-ইউ সদস্যপ্রার্থী দেশের মর্যাদা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে
যদিও এই হিসেবগুলি আনুমানিক বলে জানানো হয়েছে। পরে আরও বাড়তে পারে। মহীশূরের যে হোটেলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, সেখানে পুলিশের টহলদারি গাড়ি, বাস, অন্যান্য গাড়ি পার্কিং, অস্থায়ী তাঁবু তৈরি ইত্যাদির খরচ যুক্ত হলে খরচের অঙ্ক ২৩ কোটির বেশি হবে বলে অনুমান প্রশাসনের।
বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরু পুরনিগমের আওতাভুক্ত এলাকায় বহু রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে হঠাৎ করেই ২৩ কোটির বেশি অর্থ ব্যয় করে তা মেরামত করে ফেলা হয়েছে। সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী এই বিপুল খরচ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘যখন এখানে বন্যা, খরা এবং করোনা ছিল তখন তিনি আসেননি। এবার যখন ১১ মাস পরে নির্বাচন, তখন আসছেন। তাঁর সফরের জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, সেই টাকায় গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়ন করা যেত।”