সংবাদদাতা, রামনগর : সমুদ্র উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুরের ৭০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্যচাষ বা মৎস্যসংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্যের দেওয়া ভরতুকি মূল্যে সরঞ্জাম কিনে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন জেলার মৎস্যচাষি ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সহজ হয়েছে তাঁদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ। সচ্ছল হয়েছে মাছনির্ভর জেলার আর্থসামাজিক পরিকাঠামো।
আরও পড়ুন-অ্যালেন পার্কের অনুষ্ঠান থেকে নয়া চিড়িয়াখানার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এতদিন সাইকেলে চেপে মাছ বিক্রি করতেন তাঁরা গ্রামগঞ্জে। সাইকেলে বেশি মাছ নেওয়া বা বেশি গ্রামে যাওয়া সম্ভব হত না। সমস্যা দূর করতে রাজ্য মৎস্য দফতর ৯৯ লক্ষ টাকা খরচ করে ১৩২ জনকে বরফের বাক্সযুক্ত বাইক ভরতুকি মূল্যে দিয়েছে। এছাড়াও ১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা খরচে ৫৬ জনকে ই-রিকশা দেওয়া হয়েছে। ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে দেওয়া হয়েছে বরফের বাক্সযুক্ত সাইকেল। অর্নামেন্টাল ফিস কিংবা রঙিন মাছ উৎপাদনের জন্য ৯ লক্ষ টাকা খরচে তিনটি উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এগরা, ময়না ও রামনগর ১ রকে। প্রতিটি কেন্দ্রে বছরে ১৫ লক্ষ রঙিন মাছ উৎপন্ন হবে বলে মৎস্য দফতর সূত্রে খবর। মিষ্টি জলের মাছ চাষের উদ্দেশ্যে ৭৫ লক্ষ টাকায় জেলায় আরও তিন মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র হয়েছে ময়না, ভগবানপুর ১ এবং ২ ব্লকে। ২ কোটি ৪০ হাজার টাকায় ১২টি ইনস্যুলেটেড ভেহিকল দেওয়া হয়েছে। মৎস্যচাষিদের স্বনির্ভরতায় জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-মোহনবাগানে অমর একাদশের মূর্তি উন্মোচনে সৌরভ ও ক্রীড়ামন্ত্রী
জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা সৌরীন্দ্রনাথ জানা বলেন,‘‘আর্থিকভাবে দুর্বল গ্রামের মৎস্যজীবীদের কাজের সুবিধার্থে ভরতুকি দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২৩৪ জন মৎস্যজীবী ৬ কোটি ১৭ লক্ষ টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। মৎস্যজীবীদের জন্য আগামীতে আরও বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’’ সাধারণ মৎস্যজীবীরা প্রকল্প খরচের ৪০ শতাংশ ভরতুকি পাবেন। তফসিলি জাতি কিংবা তফসিলি উপজাতির মৎস্যজীবীরা পাবেন প্রকল্প খরচের ৬০ শতাংশ ভরতুকি। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মোট ২৩৪ জন মৎস্যজীবীর জন্য ৬ কোটি ১৭ লক্ষ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। রাজ্যের তরফে ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯৯০ টাকা ভরতুকি দেওয়া হয়েছে।