প্রতিবেদন : প্রকাশ্যে এল বাম আমলে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি। নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ প্রমাণিত হওয়ায় খাদ্য দফতরের ৬১৪ জন কর্মীর চাকরি বাতিল করে দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট। বরখাস্ত হওয়া সকলেই গ্রুপ-ডি কর্মী। গত ৮ জুন এই নির্দেশ দেয় স্যাট। এখানেই শেষ নয়, এই বেআইনি নিয়োগের নেপথ্যে যাঁরা ছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন-ইতিবৃত্তের বিধবারা
বলা হয়েছে, সিলেকশন বোর্ডের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে তো বটেই, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করতে হবে পুলিশে। বিভাগীয় তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে খাদ্য দফতরকে। ৮ সপ্তাহের মধ্যেই নিতে হবে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে গভীর অস্বস্তিতে ফেলল সিপিএম এবং তাদের দোসরদের। হাঁড়ি ভেঙে গেল হাটে। ঝুলি থেকে আরও অনেক বিড়াল বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কায় থরহরিকম্প তথাকথিত বামপন্থার ধ্বজাধারীরা। ঠিক কী হয়েছিল? যতদূর জানা গিয়েছে, খাদ্য দফতরে নিয়োগ-কেলেঙ্কারির ছবিটা মোটামুটি এইরকম, বামফ্রন্ট সরকার খাদ্য দফতরে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ২০০৮ সালে। সরাসরি ইন্টারভিউ নিয়ে ২০১০ সালে প্রকাশ করা হয় প্যানেল। এবং খাদ্য দফতরে নিয়োগ করা হয় ৬১৪ জনকে। প্যানেলে নিজের নাম দেখতে না পেয়ে এক চাকরিপ্রার্থী দ্বারস্থ হন স্যাটের।