মন্তেশ্বরের পুলিশ কর্মী ও স্ত্রীকে নৃশংস খুনের ঘটনায় ৮ জনের যাবজ্জীবনের সাজা

জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বরের ভাগড়া গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার মন্ডলের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে তার আত্মীয়দের বিবাদ চলছিল।

Must read

কালনা (Kalna) মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুধীর কুমার মন্তেশ্বরে পুলিশ কর্মী ও তার স্ত্রীকে নৃশংস খুনে ৮ জনের যাবজ্জীবনের সাজা দিল। তাছাড়া প্রত্যেকের ৩০ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত হাতেম আলি মন্ডল, লাল মহম্মদ মন্ডল, মালা মন্ডল, কাশেম মন্ডল, মান্নান মন্ডল, খসরুল মন্ডল, সাইফুল ইসলাম মন্ডল, সহিদুল ওরফে কালু মন্ডল মন্তেশ্বরের ভাগরা গ্রামের বাসিন্দা। বিচারক অভিযুক্ত ৯ জনের মধ্যে হাসিনা বিবি নামের একজনকে নির্দোষ ঘোষণা করে খালাস দেন।

আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর বিদেশী পড়ুয়া অপহরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য

জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বরের ভাগড়া গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার মন্ডলের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে তার আত্মীয়দের বিবাদ চলছিল। তার জেরে ২১ বছর আগে ২০০২ সালের ২৭ জুলাই রাতে ভাগড়া গ্রামেরই বাসিন্দা পুলিশ কর্মী আনোয়ার মন্ডল ও তার স্ত্রী মস্তুরা বিবিকে পিটিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রথমে মোট ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। তবে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠতেই খুনের ৭২ দিন পর কবর থেকে দেহ দুটি তুলে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তদন্তে আরও ৫ জন যুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন-পুজোয় পাহাড়ে বাড়তে চলেছে টয় ট্রেনে জয়রাইডের সংখ্যা

তবে খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ খুঁজে না পাওয়ায় ২০০৬ সালের ১০ ই আগস্ট চার্জ গঠনের সময় ওই ৫ জনকে খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওইদিনই ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। মামলা চলাকালীন দুই অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে কালো ও নূর সেলিমা বেগম মারা যান। সরকারি আইনজীবী বিকাশ রায় এই বিষয়ে জানান, “১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে ৮ জনের যাবজ্জীবন ও প্রত্যেকের ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানার হয়েছে। ওই টাকা নিহত দম্পতির সন্তানদের দেওয়ার নির্দেষ দিয়েছে আদালত।’ আদালতের এই রায়ে নিহতের পরিবার সন্তুষ্ট। যদিও সাজাপ্রাপ্তদের পরিবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।

Latest article