প্রতিবেদন: ওএমআর শিট বিকৃতির অভিযোগে বৃহস্পতিবারই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে গ্রুপ ডি-র ২৮২০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল কমিশন। এবার পরবর্তী ধাপে আইন মেনে তাঁদের চাকরি বাতিল করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন-ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে ৫ ঘণ্টা জেরা
তবে এদিন মোট ১৯১১ জনের জনের তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। তবে শুধু চাকরি বাতিল করেই ক্ষান্ত হলেন না বিচারপতি। ওএমআর শিটে কারচুপি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, সেই ১৯১১ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশও দিলেন তিনি। ফলে আরও বড় সমস্যায় পড়তে চলেছেন তাঁরা। বিচারপতির কড়া নির্দেশ, এই ১৯১১ জন এদিন থেকেই তাঁদের কর্মস্থলে ঢুকতে পারবেন না। স্কুলের কোনও কিছু ছুঁতেও পারবেন না৷ তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি এতদিন ধরে বেতন বাবদ যে টাকা পেয়েছেন, সেই টাকাও কিস্তিতে মেটাতে হবে। কারচুপি করে চাকরি পাওয়া ১৯১১ জন ভবিষ্যতে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও চাকরির পরীক্ষায় বসতেও পারবেন না৷
আরও পড়ুন-রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের বেহাল পরিস্থিতি আরও একবার সামনে এল
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আদালতের অনুমতি ছাড়া এই অভিযুক্তদের কারও চাকরির পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে না৷ আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে থেকে এই শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, যাদের নিয়োগ করা হবে তাদের সকলের নথি ভালভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। ফলে এত অল্প সময়ে নিয়োগ কীভাবে হবে বলা কঠিন। আদালত নিশ্চয়ই গোটা বিষয়টা ভেবে দেখবেন।