মনিশ কীর্তনীয়া : বেঙ্গল মডেলকে সামনে রেখেই মিশন ত্রিপুরায় নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এই মুহূর্তে বিজেপির শাসনে ত্রিপুরাবাসী দমবন্ধকর অবস্থা। তৃণমূল কংগ্রেস তাই ত্রিপুরাতে খেলা হবে শ্লোগান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সোমবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-পেগাসাস: ৫ অগাস্ট মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
সেখানে প্রথমেই অভিষেক ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেবেন সবার মঙ্গল কামনায়। এরপর দুপুরে দলের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে বসবেন। পরে সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আইপ্যাকে সদস্যদের ত্রিপুরায় হাউস অ্যারেস্ট করে রাখার বিষয়ে গোটা দেশজুড়ে হইচই হয়েছে। এই আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে পা রাখার পরে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস নিঃসন্দেহে সাংগঠনিকভাবে আরো জোর পাবে।
তার মধ্যেই সেখানে এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী উপস্থিত হয়েছেন তৃণমূলের তরফে। দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা সেখানে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন। বাংলায় যেভাবে নারীশক্তি, যুব সমাজ ছাত্রসমাজ এবং বাংলার আপামর জনসাধারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রেখেছেন বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে একইরকমভাবে ত্রিপুরাবাসীও বিজেপির এই অপশাসনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উপরেই ভরসা রাখবেন।
আরও পড়ুন-রবিবারও বাতিল একাধিক ট্রেন, কোন কোন ট্রেন বাতিল হয়েছে রইল তালিকা
শোনা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় পৌঁছানোর পরে অন্যান্য দল থেকে বেশকিছু নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। ত্রিপুরা নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যেই মিশন ত্রিপুরার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। অবশ্যই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের গাইডেন্স মেনে। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার যেভাবে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক-এর সদস্যদের আটকে রেখেছিল যাতে তারা শহরে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় যেতে না পারে। এটাই একপ্রকার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বিজেপির বঙ্গে ভরাডুবির পরে এবং প্রশান্ত কিশোরের আগাম ঘোষণা হুবহু মিলে যায় বিজেপি ত্রিপুরা যথেষ্ট ভয় পেয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপি যেভাবেই হোক তৃণমূলকে আটকাতে মরিয়া সেখানে। তাই বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে সেখানকার সরকার পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু এভাবে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সৈনিকদের আটকানো যাবেনা সে কথা স্পষ্ট কি বলছেন মিশন ত্রিপুরার সদস্যরা।