প্রতিবেদন : গোয়া-ত্রিপুরার পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়েও নিজেদের রাজনৈতিক জমি শক্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূলকে ঠেকাতে এবার নতুন মোড় নিল মেঘালয়ের রাজনীতি। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠা তৃণমূল কংগ্রেসের মোকাবিলায় বিজেপির কাছাকাছি চলে এল কংগ্রেস। এমন বেনজির কাণ্ডই ঘটেছে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যে। মেঘালয় কংগ্রেসের ৫ জন বিধায়ক বিজেপি-এনপিপি জোট সরকারকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। ফলস্বরূপ সরাসরি না হলেও বাইরে থেকে মেঘালয়ের বিজেপি জোট সরকারের ‘সঙ্গী’ হয়ে উঠল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-জাহাজ ফেলে চম্পট ক্যাপ্টেনের
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেত্রী আমপারিন লিংডো জানিয়েছেন, আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছি। আমাদের মনে হয়েছে, মেঘালয়ের স্বার্থের কথা ভেবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে সমর্থন করা দরকার। অর্থাৎ কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হত এবং অন্ধ বিরোধিতা করা হত তা আর করতে চায় না মেঘালয় কংগ্রেস। এক্ষেত্রে রাজ্যের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার সাফাই দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-অরুণাচলে মিলল লুপ্তপ্রায় তাকিন
এদিকে, কংগ্রেসের রাজনৈতিক দ্বিচারিতার কড়া নিন্দা করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মেঘালয়ের জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কংগ্রেস যে মেঘালয়ের মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে ব্যর্থ, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। ওরা বিশ্বাসঘাতক। মেঘালয়ের মানুষের দেওয়া দায়িত্ব পালন না করে ক্ষমতার লোভে ছুটছে কংগ্রেস। বিজেপির জোটকে মদত দিতেও অসুবিধা নেই এদের। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের পরেও এভাবেই সরকার গড়ার চেষ্টা করেছিল তারা। একইসঙ্গে জাতীয় স্তরে বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কায় কংগ্রেস নেতারা বলছেন, তাঁরা সরাসরি মেঘালয়ের সরকারে যোগ দিচ্ছেন না, বা মেঘালয় সরকারকে বাইরে থেকেও সমর্থন করছন না।
আরও পড়ুন-ঠান্ডায় কাবু দিল্লি
বিরোধী শিবিরে থেকেই সরকারের কাজে সহযোগিতা করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। যদিও সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়ে এসেছেন কংগ্রেস নেতারা। এমনকী, সাংমাকে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ইউপিএতে যোগ দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে মেঘালয়ে সাংমার নেতৃত্বে মেঘালয় ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অর্থাৎ এমডিএ-র সরকার চলছে। যা কিনা বৃহত্তম এনডিএরই অংশ। কারণ বিজেপির দুই বিধায়কও এই সরকারে আছেন। এঁদের মধ্যে একজন মন্ত্রীও রয়েছেন।