জোহানেসবার্গ, ২ জানুয়ারি : তিন বছর আগে ওয়ান্ডারার্স মাঠে প্রায় আন্ডারপ্রিপেয়ার্ড উইকেটের সামনে ভারতকে ফেলে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেই স্ট্র্যাটেজি বুমেরাং হয়ে চেপে বসেছিল তাদের উপর। শেষপর্যন্ত ভারতই সেই টেস্ট জিতে নিয়েছিল!
দেশ ছাড়ার আগে বিরাট কোহলি বলে গিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনও সিরিজ জিততে না পারাই এই সফরে তাঁদের মোটিভেশন। কিন্তু বলে না দিলেও চলে, আগেরবারের জয়ও মানসিকভাবে এগিয়ে দিচ্ছে কিং কোহলির দলকে। আর বিরাটরা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে পা ফেলার পরই বিসিসিআই টুইট করেছে, নতুন দিন। নতুন বছর। নতুন মাঠ। নতুন ফোকাস!
আরও পড়ুন-বিরাটের বড় রান করা শুধুই সময়ের অপেক্ষা, অধিনায়কের পাশে দাঁড়ালেন দ্রাবিড়
আফ্রিকানদের দুর্গ সেঞ্চুরিয়নে ডিন এলগারের দলকে ১১৩ রানে উড়িয়ে দিয়ে সত্যিই এখন নতুন ফোকাসের সামনে ভারতীয় দল। এখনও এদেশ থেকে সিরিজ জিতে ফিরতে পারেনি ভারত। এবার সেই সুবর্ণ সুযোগ। স্বয়ং বিরাট কোহলিও দ্বিতীয় টেস্টে সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। এখানে জিতলে সিরিজ প্রথমবারের জন্য ভারতের দখলে আসবে। তৈরি হবে নতুন ইতিহাস। কিং কোহলির নেতৃত্বে।
তবে প্রথম টেস্টের মতো এখানেও প্রথম একাদশ বাছতে গিয়ে কিঞ্চিৎ সমস্যায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। গতিময় উইকেটে অন্তত চার ফাস্ট বোলার হাতে রাখছে ভারত, এটা নিশ্চিত। সঙ্গে অশ্বিন। প্রথম টেস্টে শার্দূল ঠাকুর কিছু করতে পারেননি। এখানে তাঁর জায়গায় উমেশ যাদবের কথা ভাবা হচ্ছে। উমেশের বলের গতি অনেক বেশি বলে। ব্যাটিংয়ে ফের আলোচনায় উঠছে পূজারা ও রাহানের অফ ফর্ম। তবে খুব অঘটন না ঘটলে রাহুল দ্রাবিড়ের ভোট দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যানের দিকেই থাকছে। এতে আরও অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে শ্রেয়স, হানুমাদের। যেখানে সিরিজ জয়ের হাতছানি, সেখানে ঝুঁকির পথে নাও হাঁটতে পারে দল।
আরও পড়ুন-শহরে নামবে না ব্রিটেনের বিমান
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা একঝাঁক তারকাকে হারিয়ে একটা ট্র্যানজিশন পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একে একে সরে গিয়েছেন ডুপ্লেসি, আমলা, কালিস, স্টেইনরা। সবশেষে সবাইকে চমকে দিয়ে কুইন্টন ডি’ককও টেস্ট ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়ে দিয়েছেন প্রথম টেস্টের পর। তাঁর জায়গা নেবেন বছর পঁচিশের রায়ান রিকলেটন। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করা আর বুমরা-শামিকে খেলা যে এক জিনিস নয়, সেটা তাঁকে বুঝতে হবে।
সবুজ উইকেটে আফ্রিকানদের শক্তি রাবাডা ও এনগিডি জুটি। পারলে এরাই পারবেন বিরাট-রহুলদের চাপে রাখতে। নাহলে ফের ম্যাচের রাশ হাতে তুলে নেবে ভারত। শুধু টেস্ট কেন, তাতে হয়তো সিরিজও চলে যাবে।