প্রতিবেদন : কলকাতা শহরে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিল। ইতিমধ্যেই শহরের ২১টি এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে পুরসভা। মূল সংকট তৈরি হয়েছে ৭ নম্বর বরোতে। এখানে বৃন্দাবন গার্ডেন আবাসনকে কনটেনমেন্ট জোন বলে শুধু ঘোষণা করাই নয়, পাশাপাশি এই আবাসনে আবাসিকদের এবং বহিরাগতদের ঢোকা ও বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশি পাহারা। কাউকেই মাস্ক ছাড়া ঢুকতে ও বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা করোনা বিধিনিষেধ মানতে নারাজ, তাদের মাস্ক পরার অনুরোধ করা হচ্ছে। এরপরেও যদি কেউ সরকারি বিধিনিষেধ না মানেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরে আরও চারজনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৩।
আরও পড়ুন-করোনায় দুঃস্থদের জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করল নবান্ন
তবে রাজ্য সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নজরদারি চালাচ্ছে। তবে যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে জনসাধারণকেও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। করোনার জন্য আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের অবিলম্বে হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা রাজ্যে এ পর্যন্ত ১৫০-এর বেশি ডাক্তার ও নার্স করোনায় আক্রান্ত। তপসিয়ার বৃন্দাবন গার্ডেনের পাশাপাশি ট্যাংরা আবাসনেও করোনার থাবা। এখানেও আবাসিকদের চলাফেরার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শহরের পাশাপাশি খড়গপুরের আইআইটিতেও করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৮৭১ জন। প্রত্যেককে অন্য হস্টেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। করোনার জন্য চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের সব হাসপাতালের উপর মনিটারিং চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবনে এজন্য একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।