সংবাদদাতা, বীরভূম : পূর্ণ লকডাউন না করায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ বিড়িশ্রমিকরা। তবে করোনাগ্রাফ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় আংশিক নিয়ন্ত্রণ যে জরুরি তাও মানছেন তাঁরা। মুরারইয়ের বিড়িশ্রমিক নুর আলম বলেন, বিড়িশিল্প মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন মুরারই বিধানসভা এলাকায় মানুষের প্রধান জীবিকা। সরকারি দর অনুযায়ী হাজার বিড়ি বাঁধার পারিশ্রমিক ১৭৮ টাকা।
আরও পড়ুন-রাজ্য সরকারের বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে ২০ কোটি পেলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা
যদিও সর্বত্র চালু হতে সময় লাগবে। একজন বিড়িশ্রমিক মাসে বড়জোর পনেরো হাজার বিড়ি বাঁধতে পারেন। এই টাকায় তাঁদের সংসার চলে। তাই পূর্ণ লকডাউন হলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে বিড়ির তামাক আসবে না। ফলে শ্রমিকরাও কাজ পাবেন না। বাইরের বাজারে বিড়ি পাঠানো যাবে না গাড়ির অভাবে। বিড়িশিল্পের সঙ্গে যুক্ত এলাকার চার হাজার মহিলা শ্রমিক ছাড়াও আরও যাঁরা যুক্ত, তাঁরাও বিপদে পড়ে যাবেন। ফলে সরকারের চালু করা করোনা বিধি নিজেদের স্বার্থেই মেনে নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন।