অনন্ত গুছাইত, নয়াদিল্লি : ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড-১৯-এর তৃতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়েছে। ভারতের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডাঃ এন কে অরোরা এই কথা জানিয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন করোনার তৃতীয় ঢেউ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। তাঁর মতে, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতার মতো মেট্রো শহরগুলিতে মিলিতভাবে ৭৫ শতাংশ ওমিক্রনের শিকার হয়েছে।
অরোরা বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে সার্বিকভাবে চিহ্নিত ভ্যারিয়েন্টগুলির ১২ শতাংশ ছিল ওমিক্রন। পরে তা বেড়ে ২৮ শতাংশ হয়েছে। মঙ্গলবার দেশে ৩৭,৩৭৯ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন-আকাশ থেকে মাছ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসমুক্ত হয়েছেন ১১,০০৭ জন এবং ১২৪ জন করোনাভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছেন। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স ৫ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতকালীন ছুটি বাতিল করেছে।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে করোনা পজিটিভ। দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারিও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাজধানীর সফদরজং হাসপাতালের অন্তত ২৩ জন চিকিৎসকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এছাড়াও হাসপাতালগুলিতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার কারণে এইমসের ৫০ জন চিকিৎসককে আলাদা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বৃষ্টির সম্ভাবনা পৌষেই, বাড়তে চলেছে গরম
মহারাষ্ট্রেও ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর কথায় মুম্বইয়ে লকডাউনের ইঙ্গিতই মিলেছে। মেয়র বলেছেন, রাজ্যে যদি করোনা সংক্রমণ বাড়তেই থাকে তবে লকডাউন জারি করা হতেই পারে। যদিও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যের কোনও এলাকাতেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। মেয়র স্পষ্ট জানিয়েছেন, মুম্বইয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই শহরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মানুষের জীবন বাঁচাতে লকডাউন জারি করতেই হবে।