অনন্ত গুছাইত, নয়াদিল্লি : একধাক্কায় দেশে (Coronavirus in India) ৩৭ হাজার থেকে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ হাজারে পৌঁছে গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৯৭ জন। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ হাজার ৩৭৯-এ। অর্থাৎ একদিনেই ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। মৃত্যু হয়েছে ৫৩৪ জনের। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৯ জন। সবমিলিয়ে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ২ লক্ষ ১৪ হাজার ০০৪ জন। অন্যদিকে, দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও ২ হাজারের গন্ডি পার করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে যে, দেশে ওমিক্রনের মোট সংখ্যা বেড়ে এখন ২ হাজার ১৩৫। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে সর্বাধিক সংখ্যক কেস পাওয়া গিয়েছে। ৬৫৩ জন মহারাষ্ট্রে এবং ৪৬৪ জন দিল্লিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে। তবে ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ৮২৮ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন।
করোনার তৃতীয় তরঙ্গের মোকাবিলায় ভারতের (Coronavirus In India) রাজ্যগুলিতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহ থেকেই শনি ও রবিবার কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লিতে। এবার কর্ণাটকেও নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে ফের সপ্তাহান্তে কার্ফু চালু করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৫টা অবধি এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া রোজ রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা অবধি নৈশ কার্ফুও জারি থাকবে। কার্ফু চলাকালীন অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা, গণপরিবহণ চালু থাকবে এবং হোটেলগুলিও খোলা থাকবে। সমস্ত অফিসকেই সোমবার থেকে শুক্রবার অবধি অফিস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিটিং, মিছিল, বিক্ষোভ বা জমায়েতের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় হোম আইসোলেশনে থাকার মেয়াদ কমানো হল
মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রে যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত কয়েকদিনে, তা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সে-কথা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক উড়ানে আগত যাত্রীদের উপর কড়া নজরদারি রাখতে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে মুম্বইয়ে আগত সমস্ত যাত্রীকেই বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। এদিকে, করোনার তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে সতর্ক করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (World Health Organization)।