অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল : দলের তরফে আগেই নির্দেশ ছিল করোনাকালে কোথাও বড়সড় জমায়েত করা যাবেনা। সেই নির্দেশই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে রবিবাসরীয় প্রচারে নামলেন আসানসোল পুর নিগমের ১০৬ জন তৃণমূল প্রার্থীই। কোভিড বিধি কঠোরভাবে মেনেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা। ইংরেজি নতুন বছরের দ্বিতীয় রবিবারটিতেও তাই প্রচারে কোনরকম খামতি রাখতে চাইলেন না তাঁরা। এদিন সকাল থেকেই পুরনিগমের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই দেখা যায় হাতে গোনা কয়েকজন দলীয় কর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন-আক্রান্ত গার্ড ড্রাইভার
শনিবারই তৃণমূলের ১০৬ জন প্রার্থীকে নিয়ে আলোচনায় বসেন রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। আসানসোলের একটি ম্যারেজ হলে আয়োজিত সেই বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধান উপাধ্যায়, দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি. শিবদাসন দাশু প্রমুখ। এই বৈঠকেই স্থির হয় প্রার্থীদের কেওই কোথাও কোনরকম বড় জমায়েত করতে পারবেন না। কোভিড প্রোটোকল মেনে সর্বাধিক আড়াইশোজন কর্মী নিয়ে ছোট পথসভা ইত্যাদি করতে পারবেন। প্রত্যেক প্রার্থীকে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণ মুখী প্রতিটি প্রকল্পের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে হবে। এরজন্য প্রয়োজনে লিফলেট ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।
আরও পড়ুন-করোনা রোগীদের রান্না করা খাবার
রবিবার সকাল থেকেই মন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রচারে গিয়ে আসানসোলের উন্নয়ন মূলক প্রকল্পগুলির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের মানবিক প্রকল্পগুলির ছবি তুলে ধরেন তৃণমূলের ভোটপ্রার্থীরা। এদিন আসানসোল উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় তাঁর এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে পায়ে হেঁটেই প্রচার সারেন। এই ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডটি মূলত বাজার এলাকা। অমরনাথবাবু বাজারের ব্যবসায়ীদের কী ধরণের পরিষেবা প্রয়োজন, কোন কাজগুলি আগে করলে তাঁদের সুবিধা হবে ইত্যাদি জানতে চান।আসানসোল পুরনিগমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর অমরনাথ বাবু পুরনিগমে প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান হিসেবে বেশ কয়েক মাস কার্যভার সামলেছেন।
আরও পড়ুন-মাস্ক ছাড়া বাজারে এলেই জুটছে গদার প্রহার
এদিন সকাল থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী অভিজিৎ ঘটক। মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ বাবু বিগত পুরবোর্ডে মেয়র পারিষদ ছিলেন। অভিজিৎ বাবু বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি বাড়িতে গিয়ে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনার পাশাপাশি কিভাবে তাঁদের সমস্যা মোকাবিলা করা যায় সে ব্যাপারেও আলোচনা করছি। এবং বলা বাহুল্য, প্রচারে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি।