প্রতিবেদন : ভাবতেও অবাক লাগে! অন্য কিছু নয়, রাতদুপুরে চোর এসে নিয়ে গেল করোনার ভ্যাকসিন। রোগের হাত থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিনকেই মূল হাতিয়ার করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই ভ্যাকসিন চুরি যাওয়ার খবরে রীতিমতো উদ্বেগে পড়েছেন হায়দরাবাদের এক গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে ভ্যাকসিন দিতে এসে চুরির বিষয়টি নজরে আসে হাসপাতাল কর্মীদের।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবার ১০০%
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে হায়দরাবাদের জামবাগের গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিনের মোট ৪১টি ভায়াল চুরি যায়। যার মধ্যে ২৪টি ছিল কোভিশিল্ড এবং ১৭টি কোভ্যাকসিনের ভায়াল। তবে ভ্যাকসিনের পাশাপাশি চোরেরা নিয়ে গিয়েছে দু’টি কম্পিউটার ও বেশকিছু স্যানিটাইজার। একইসঙ্গে হাসপাতাল চত্বরে থাকা দুটি অটোরিকশার চাকাও চোরেরা খুলে নিয়ে গিয়েছে। ওই অটোরিকশা করেই স্বাস্থ্যকর্মীরা ক’দিন ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার কাজ চালাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যেই ওই গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার পুলিশের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-ওমিক্রনের চেয়েও অনেক বেশি সংক্রামক করোনার এক উপ-প্রজাতির হদিশ মিলল
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী ও সংলগ্ন এলাকার বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, চোরেরা কোভিশিল্ডের ৩৪০টি এবং কোভ্যাকসিনের ২৭০টি ডোজ নিয়ে চলে গিয়েছে। এর আগেও দেশের কয়েকটি হাসপাতালে ভ্যাকসিন চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা সেই ভ্যাকসিন পরে খোলাবাজারে অনেক চড়া দামে বিক্রি করেছে, এমন অভিযোগ উঠেছে। তাই পুলিশ ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই খতিয়ে দেখছে।