বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও অনুপম সাহা, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার : বিজেপি যে ‘বসন্তের কোকিল’ তা নিজেরাই প্রমাণ করল। প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায়ই তাদের কাজ। ময়নাগুড়ির ভয়াবহ দুর্ঘটনাস্থলে কোনও বিজেপি কর্মী-সমর্থকের দেখা মিলল না। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে এক বিজেপি বিধায়ক থাকলেও তিনি শুধুমাত্র মুখ দেখিয়ে চলে যান। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পৌঁছান, যান রেলমন্ত্রী। অথচ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দেড়শো জন যুব তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বাড়াইক।
আরও পড়ুন-দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে অসুস্থ রবীন্দ্রনাথ
গ্রামবাসীদের সঙ্গে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা। ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের কামরা থেকে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করেন। আহতদের সঙ্গে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁরা পৌঁছান হাসপাতালেও। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পর পর আহতদের সারি। জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কে পৌঁছে রক্তের ব্যবস্থা করেন। সঙ্কট মেটাতে রক্তদান করেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসর কর্মীরা। বাংলার যুব শক্তির সদস্যদের ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ আপামর মানুষ।
আরও পড়ুন-রাত জেগে দফতর থেকে নজরদারি জেলাশাসকের
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় আহতদের পাশে দাঁড়ান। তিনি সংস্থার বাসে আহত যাত্রীদের হাসপাতালে এবং আটক যাত্রীদের স্টেশনে পৌঁছতে সাহায্য করেন। মৃত ও আহতদের মধ্যে অনেকেই কোচবিহারের মানুষ। তাঁদের খোঁজ নেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। আরও কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ-ছাড়াও নিজের টিম নিয়ে ছুটে যান তৃনমূল কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিক। যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সহায়তা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সাধারণ মানুষ এই কাজের প্রশংসা করেছেন একবাক্যে। পাশাপাশি বিজেপির অসহযোগিতায় উঠে এসেছে সমালোচনার ঝড়।