রাত জেগে দফতর থেকে নজরদারি জেলাশাসকের

আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পাঠানো হয় ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স।

Must read

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার : দোমহনির রেল দুর্ঘটনার পরই জেলায় আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ। তাঁর নির্দেশ মেনেই জেলার আধিকারকরা পরিষেবা দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। দফতরে বসে সমস্ত বিষয়ে জোর নজরদারি চালাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা। হাসপাতালে আহতদের খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। পাশাপবাশি কোথায় কী প্রয়োজন তা নিখঁুতভাবে খতিয়ে দেখছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পাঠানো হয় ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স।

আরও পড়ুন-প্রয়াগরাজের মাঘমেলা কি করোনার সুপার স্প্রেডার?

৩০ জনের উদ্ধারকারী দল ও দমকল বিভাগের গাড়ি পাঠানো হয় জেলাশাসকের উদ্যোগে। শুধু উদ্ধারকারী দল পাঠিয়ে জেলাশাসক দায়িত্ব সেরে ফেলেননি। রাত জেগে দফতরে বসে পুরো বিষয়টি নিজে পরিচালনা করছেন জেলাশাসক স্বয়ং। নিজে ওই ট্রেনে থাকা আলিপুরদুয়াররের যাত্রীদের ফোন করে খোঁজখবরও নেন তিনি। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও বিরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতাল দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিশেষ ভাবে তৈরি রাখেন।

আরও পড়ুন-ছকভাঙা একটি গোয়েন্দা চরিত্র গোরা

পরে ফালাকাটাতে দুজন ও আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঁচ জন সামান্য আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। যদিও তাঁদের আঘাত গুরুতর ছিল না । প্রথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা। জেলাশাসকের এই উদ্যোগকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে জেলাবাসী।

Latest article