জমে উঠল বিদ্রহীদের বনভোজন। বনগাঁর গোপালনগরের রঘুনাথপুরে সকাল থেকে চলছে তোড়জোড়। মূলত মতুয়াদের চাপেই যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য কমিটি সহ সমস্ত কমিটি ভেঙে দিতে বাধ্য হয়েছে এটা কার্যত প্রমাণিত। একইসঙ্গে বনভোজনের আড়ালে নিজেরা আরও একবার সংঘবদ্ধ হয়ে পরবর্তী কর্মসূচী সাজিয়ে নিলেন। এরআগে বিদ্রোহীরা পোর্ট ট্রাস্ট এবং গতকাল শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে বৈঠক করেছেন। ঘনঘন বৈঠকে বসতে হচ্ছে কারণ নতুন মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। ফলে সেই মঞ্চের রূপরেখা কী হবে, কীভাবে কাজ হবে তা দেখতেই বারবার বৈঠকে বসা।
আরও পড়ুন-ফেসবুকে উচ্ছ্বসিত অভিষেক, ডায়মন্ড হারবারে সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নিচে
শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির বিদ্রোহীদের নিয়ে সোমবার দুপুরে বনভোজন গোপালনগর দক্ষিণ মন্ডলের সভাপতি হরিশঙ্কর সরকারের বাড়িতে। মেনুতে রয়েছে সাদা ভাত, ভেজ ডাল, মাছের কালিয়া, চিকেন কষা, স্যালাড, পাপড়, চাটনি এবং মিষ্টি।
বনভোজনে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ সংসদ শান্তনু ঠাকুর, গাইঘাটার বিজেপি বিধায়াক সুব্রত ঠাকুর ও নাদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাস, বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রিতেশ তিওয়ারি।
আরও পড়ুন-মদন মিত্রকে নিজের ব্যবহারের জন্য কড়া বার্তা দিয়ে সতর্ক করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বনভোজনে রীতিমতো উৎসব-উদ্দীপনা, গান, বাজনা চলছে। এবং তিন জন নেতার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার। এরপর নিজেদেরমধ্যে গোলটেবিল বৈঠক। বিদ্রোহ পর্বে কী কী পদক্ষেপ হবে তা নিয়ে আলোচনা।