সংবাদদাতা, ডায়মন্ড হারবার : এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের সূত্র ধরে একটি কন্টেনার-সহ লুট হয়ে যাওয়া জেরক্স মেশিনের খোঁজ পেল ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুলিশ। ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৪৫টি জেরক্স মেশিন। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত কন্টেনারের খালাসি সাদ্দাম মোল্লা-সহ দু’জন। সাদ্দাম মোল্লা পারুলিয়া কোস্টাল থানার মুড়াগাছার বাসিন্দা। খালাসি সাদ্দাম মোল্লা চালক সাদ্দাম শেখকে খুন করে কন্টেনারে থাকা জেরক্স মেশিনগুলি বিক্রি করেছিল বলে দাবি পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহত কন্টেনার চালক সাদ্দাম শেখ বিহারের রহো জেলার বাসিন্দা। তাঁর বাবা ছেলের দেহ শনাক্ত করেছেন। ধৃতকে রবিবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৮ জানু্য়ারি। চেন্নাই থেকে বহুজাতিক কোম্পানির ৫১টি জেরক্স মেশিন নিয়ে একটি কন্টেনার কলকাতায় আসছিল। ২৩ তারিখ কন্টেনারটি হাওড়ার ধুলাগড়ে পৌঁছয়। ওইদিন চালক ও খালাসি একসঙ্গে একটি ধাবায় খান। খাওয়ার সময় চালকের খাবারে মাদক মিশিয়ে বেঁহুশ করে দেয় খালাসি। ওইদিন রাতে কন্টেনারের মধ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে খুনের চেষ্টা করে। পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাছে আসার পর চালকের হুঁশ ফিরতেই, মুখের মধ্যে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে দেহটি ফেলে দেয় ডায়মন্ড হারবারের চাঁদনগরের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে নয়ানজুলিতে। শুক্রবার দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পারেন মৃত ব্যক্তি ট্রাক চালক।
আরও পড়ুন – উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবে মানুষ: চন্দ্রিমা
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) এসডিপিও ও আইসি মিলে তদন্ত শুরু করেন। বিকেলেই ট্রাক মালিকের থেকে চালকের ঠিকানা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রাতেই উস্তি থেকে গ্রেফতার হয় খালাসি। খুনের পর মামার বাড়িতে লুকিয়ে ছিল সে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া বেশ কিছু জেরক্স মেশিন। পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘এই তদন্ত পুলিশের কাছে বড় সাফল্য। কারণ কন্টেনার লু্টের কোনও তথ্য ছিল না পুলিশের কাছে। অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ উদ্ধারের পর মেলে বড় সাফল্য। খুনে ব্যবহার করা দড়িটি ট্রাকের ছিল। সেই দড়ির সূত্র ধরে সব কিছু মেলে। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর আরও তথ্য মিলবে। সুন্দরবন পুলিশ জেলাও এই ঘটনায় আগেই একজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছিল বেশ কিছু জেরক্স মেশিন।’’